মোংলা প্রতিনিধি :
পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের দায়ের কোঁপে বড় ভাই খুন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হলে ছোট ভাই বড় ভাইকে কুপিয়ে যখম করে।
পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় বড় ভাইকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করলে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনা মোংলার স্থায়ী বন্দরের দিগরাজ এলাকার।
মোংলা থানার উপ-পরিদর্শক সেকেন্ড অফিসার জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ছোট ভাই শেখ ফরিদকে আসমী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের ছেলে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও পতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, মোংলার স্থায়ী বন্দরের দিগরাজ বাজারের মোঃ আজম (৫২) একজন মুদি ব্যাবসায়ী। ওই দোকান থেকে আপন ছোট ভাই মোঃ শেখ ফরিদ বাকীতে মালামাল ক্রয় করতো। দোকান থেকে বাকী নেয়ায় বেশ কিছু টাকা পাওনা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার বাসায় গিয়ে ছোট ভাইয়ের কাছে দোকানের পাওনা টাকা চাইতে যায় বড় ভাই। এসময় দুই ভাইয়ের মধ্যে বাক-বিতান্ডায় জড়িয়ে পরে উভয় ভাইয়ের পরিবারের লোকজন।
একপযার্য়ে ছোট ভাই শেখ ফরিদ ও তার ছেলে ইয়াসিন তাদের ঘরে থাকা দাঁ ও সাবল দিয়ে দিয়ে বড় ভাইর মাথার আঘাত করে। এতে বড় ভাই শেখ আজমের মাথার বাঁ পাশে ও পায়ে মারাত্মক জখম হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থা অবনতী হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর ঢাকায় নেয়ার তার মৃত্যু হয়। নিহত আজম শেখ দ্বিগরাজ এলাকার মৃত শেখ বেলায়েত হোসেন’র বড় ছেলে বলে জানা গেছে।
হত্যাকান্ডের বিষয়ে মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) তুহিন মন্ডল জানান, এ ঘটনায় নিহত আজম শেখ’র ছেলে সোহেল রানা বাদী হয়ে আপন ছোট চাচা শেখ ফরিদ (৪৫) ও চাচাতো ভাই (ফরিদের ছেলে) শেখ ইয়াসিন (২৫) সহ অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নং-১৫।
তবে ঘটনার পর পরই আসামীরা পলাতক থাকায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় পুলিশ কর্মকর্তা তুহিন মন্ডল।