হোম খুলনাযশোর ভবদহের জলাবদ্ধতায় মনিরামপুরের ৪ ইউনিয়নে অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান ব্যাহত

ভবদহের জলাবদ্ধতায় মনিরামপুরের ৪ ইউনিয়নে অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান ব্যাহত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 47 ভিউজ
রিপন হোসেন সাজু:
প্রায় এক মাস ধরে হাটু পানিতে তলিয়ে আছে স্কুল আঙ্গিনা। বাধ্য হয়েই ক্লাসের ভিতর বেঞ্চের মাচা বানিয়ে, বাড়ি উঠানে তাবু টানিয়ে কিংবা আশেপাশের অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় অস্থায়ী সেড তৈরি করে চলছে পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম। ভবদহের জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে এভাবেই ভোগান্তি পোহাচ্ছে মনিরামপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। উপজেলার সরকারি ও বেসরকারী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার অন্তত অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ পানিতে তলিয়ে আছে। এতে করে সিংহভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে অথবা বিকল্প পন্থায় পাঠদান চালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সরজেমিন জলাবদ্ধ এলাকার উপজেলার কুলটিয়া, নেহালপুর, দূর্বাডাঙ্গা ও মনোহরপুর ইউনিয়নে গেলে এইসব চিত্র চোখে পড়ে। মনোহরপুর ইউনিয়নের বয়ারখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তনুজা মল্লিক জানান, শিক্ষার্থীদের বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে, বিদ্যালয়েও পানি। ক্লাসরুমে পানির কারণে বেঞ্চের মাচা বানিয়ে কোনরকমে শ্রেণি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। হাটগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সনজিত মন্ডল জানান, অতিবৃষ্টি ও উত্তরের পানির চাপের কারণে এ বছরেও বিদ্যালয়টি ডুবে গেছে। সুজাতপুর উত্তরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী সুমন বৈরাগী বলেন, স্কুলে আসার রাস্তায় পানি, মাঠে পানি। ঝুঁকি জেনেও বাচ্চারা স্কুলে আসছে। এছাড়াও উপজেলার হাটগাছা, কুলটিয়া, লখাইডাঙ্গা, বাজেকুলটিয়া, সুজাতপুর, মহিষদিয়া, আলীপুর, পাঁচাকড়ি, আসাননগর, কুশখালি, কামিনীডাঙ্গা, কুমারঘাটা গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতেও বিকল্পভাবে চলছিল শিক্ষা কার্যক্রম। জলাবদ্ধ এলাকার একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তায় কোথাও হাটু পানি, কোথাও কোমর পানি। স্কুলের মাঠে হাটু পানি, কোথাও আবার স্কুলের ক্লাসরুমেও পানি। পানি ভেঙ্গে বাড়ি থেকে স্কুলে যেতে হচ্ছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম জিল্লুর রশীদ জানান, উপজেলার কমপক্ষে ২৫টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদান বন্ধ রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু মোতালেব জানান, উপজেলার ১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেলেও বিকল্পভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন