আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করা অন্তত ৫৪ নাগরিক ও ব্যক্তির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন রাজনীতিক ও সাংবাদিকও রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা রাশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদন মতে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ব্রিটিশ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী লুসি ফ্রেজার ও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) প্রধান ব্রিটিশ নাগরিক করিম খানও রয়েছেন।
বিবিসি, দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ ও দ্য গার্ডিয়ানের বেশ কয়েকজন সাংবাদিককেও তালিকায় রাখা হয়েছে। বিবিসির সংবাদিকদের মধ্যে প্রধান নির্বাহী দেবোরাহ টার্নেস, উপস্থাপক ও বিশ্লেষণ সম্পাদক রস অ্যাটকিনস ও সোশ্যাল মিডিয়া বিষয়ক সংবাদদাতা মারিয়ানা স্পিংয়ের নাম রয়েছে। তবে বিবিসি বলেছে, তারা বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন প্রকাশ অব্যাহত রাখবে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, শত্রুতামূলক ও রাশিয়াবিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়নে লন্ডনের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাবে ও রুশ নাগরিকদের ওপর যুক্তরাজ্যের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গন থেকে একঘরে করতে চেষ্টা-তদবির করায় ফ্রেজারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। আর ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের জন্য দায়ী করে প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনাবেল গোলডিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চলতি বছরের মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। ইউক্রেন থেকে শিশুদের অবৈধভাবে বিতাড়িত করার অভিযোগে এ পরোয়ানা জারি হয়। তবে মস্কো এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরও বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাশিয়া এর আগেও কয়েকশ ব্রিটিশ এমপি, ব্রিটিশ সাংবাদিক ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গত বছরের জুনে ইউক্রেন থেকে যুদ্ধের খবর দেয়া কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তার মধ্যে বিবিসির সাংবাদিক ক্লাইভ মিরি ও অরলা গুয়েরিনও রয়েছেন।
গত বছরের (২০২২) ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর থেকেই মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা দেশগুলো। গত দেড় বছরে যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও অন্য দেশগুলো মিলে এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি রুশ ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।