আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে আট বছরের জন্য নির্বাচনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন দেশটির সুপ্রিম ইলেক্টোরাল কোর্ট। খবর আল জাজিরার।
গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। ব্রাজিলের নির্বাচনে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ব্যালট হ্যাক করে কারচুপির সুযোগ আছে এমন মিথ্যা দাবির মাধ্যমে বলসোনারো দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল।
শুক্রবার (৩০ জুন) বিচারপতিদের ৫-২ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এই রায় দেয়া হয়।
এদিকে এই রায়কে ‘পিঠে ছুরির মারার’ সঙ্গে তুলনা করেছেন বলসোনারো। ব্রাজিলে ডানপন্থার রাজনীতিকে এগিয়ে নেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এই রায়ের বিরুদ্ধে বলসোনারোর আইনজীবীরা আপিল করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সবশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় গত বছরের ২ অক্টোবর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। যদি রায় বহাল থাকে বলসোনারো ২০২৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে ২০৩০ সালের নির্বাচনে তার অংশ নিতে বাধা নেই।
গত বছর ক্ষমতায় থাকার সময় দেয়া এক বক্তব্য ঘিরে বলসোনারোর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। ওই বছরের ১৮ জুলাই এক অনুষ্ঠানে বলসোনারো দাবি করেন, ব্রাজিলে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন হ্যাক করা যায় এবং বড় ধরনের কারচুপির সুযোগ আছে।
গত বছরের অক্টোবরের নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ভোটে বামপন্থি নেতা লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে পরাজিত হন বলসোনারো।
যদিও বলসোনারো প্রকাশ্যে নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করেননি। লুলার শপথ নেয়ার দুই দিন আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় চলে যান।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে দেশটির কংগ্রেস ভবন, সুপ্রিম কোর্ট ও প্রেসিডেন্সি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে বলসোনারোর কয়েক হাজার সমর্থক। এদিন ব্যাপক তাণ্ডব চালায় তারা।
একপর্যায়ে কংগ্রেস ভবনের ছাদে উঠে যায় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।