হোম অন্যান্যশিক্ষা ব্রজমোহন কলেজ-পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: প্রকাশ্যেই গাঁজা বিক্রি, প্রতিবাদে করলেই তেড়ে এসে মারধর-লাঞ্ছিত

ব্রজমোহন কলেজ-পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: প্রকাশ্যেই গাঁজা বিক্রি, প্রতিবাদে করলেই তেড়ে এসে মারধর-লাঞ্ছিত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 94 ভিউজ

শিক্ষা ডেস্ক:

বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে গাঁজা, ইয়াবা বিক্রি চলে প্রকাশ্যেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতির পটপরিবর্তনে কোন্দল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাদকের রমরমা বাণিজ্যে অতিষ্ঠ শিক্ষকরাও। আর প্রতিবাদ করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মারধর ও লাঞ্ছিতের শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পরিত্যক্ত ছাত্রাবাসে হঠাৎই পুলিশের অভিযান চালানো হয়। ভিতরে ঢুকতেই পাওয়া যায় মাদকদ্রব্য ব্যবহারের সব আলামত। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালান মাদকাসক্তরা। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ক্যাম্পাসটিকে মাদকের হটস্পষ্ট বানানো হয়েছে।

সরকারি ব্রজমোহন কলেজের অবস্থা আরও ভয়াবহ। প্রতি রাতে ক্যাম্পাসে বসে মাদকের জমজমাট আড্ডা।

সরেজমিনে হলগুলো ঘুরে দেখা যায়, মাদকের সব আলামত। ডিগ্রি হলের ‘এ’ ব্লকের ছাদ, ‘বি’ ব্লকের ৩১২, ২১৫, ২১১ নম্বর রুম, ‘সি’ ব্লকের ছাদ, ৪২২, ৪২৫, ৪২৭ নম্বর রুমে রাতে নিয়মিত মাদকের আখড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগতরা মিলে অন্তত ১৫ জনের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চালাচ্ছে মাদক ব্যবসা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু সদস্যরা রোজ টাকার ভাগ নেন। কতিপয় রাজনৈতিক নেতা নিজেদের শক্তি জিইয়ে রাখতে ছায়া দেন মাদককারবারিদের বলে অভিযোগ রয়েছে। ক্যাম্পাসে মাদক কারবারিদের আনাগোনা বেড়েছে বলে স্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানের প্রধানরাও।

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ এস কাইয়ুম উদ্দীন আহমেদ বলেন, কলেজে মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়েছে। এরই মধ্যে আমরা কঠোর নজরদারি জারি করেছি। কোথাও কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ড দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত এ বিষয়ে সমাধান করা হবে।

বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী রুহুল আমিন বলেন, কলেজে কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোক আছে এটা মানি কিন্তু একেবারে যে মাদকের আখড়া হয়ে উঠেছে সেটা মানছি না। তবে যেটুকু যা সমস্যা আছে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত এ বিষয়ে সমাধান করা হবে।

আর গতানুগতিক হুঁশিয়ারি দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুল করিম।

সরকারি ব্রজমোহন কলেজে ৩০ হাজার ও সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন