স্পোর্টস ডেস্ক:
ক্যারিয়ারের প্রায় শেষের পথে লিওনেল মেসি। এক জীবনে যা কিছু জেতা সম্ভব তার সবকিছুই জিতেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। একমাত্র অপ্রাপ্তির বিশ্বকাপটাও জিতে ফেললেন শেষবেলায়। ব্যক্তিগত পুরষ্কারেও কমতি নেই কোনো। এমন খেলোয়াড়ের যে কোনোকিছু নিয়ে পিছুটান থাকবে না সেটাই তো স্বাভাবিক।
একটা সময় ব্যালন ডি’অর নিয়ে মানুষের ঝোঁক ছিল প্রচুর। বিশেষ করে মেসি-রোনালদোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময়টাতে এই পুরষ্কার নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় উঠতো। তবে সেসব এখন সোনালী অতীত। দুজন চলে গেছেন বিশ্বের দুই প্রান্তে, খেলছেন ভিন্ন ভিন্ন লিগে। তবে এবারের ব্যালন ডি’অর নিয়েও আলোচনা কম হচ্ছে না। কারণ রোনালদো না থাকলেও এবারের আলোচনায় আছেন মেসি।
আগামী ৩০ অক্টোবর আরেকটি ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের রাত। বিশ্বকাপ এবং লিগ শিরোপা জিতে এবার ব্যালনের আলোচনায় মেসি। তবে ৭ বার ব্যালন ডি’অর জয়ীর আর এই পুরষ্কার নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। সংবাদ সম্মেলনে মেসির বক্তব্যে অন্তত সেটাই বোঝা গেল।
রোববার (২০ আগস্ট) ভোরে নাশভিলের বিপক্ষে লিগস কাপের ফাইনাল খেলবে ইন্টার মায়ামি। ভাঙাচোড়া দলটাকে এক ধাক্কায় ফাইনালে তুলে দেওয়ার নায়ক মেসি। তাই ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে পাঠানো হলো তাকে। সেখানে উঠে এলো এই ম্যাচের বাইরের অনেক বিষয়ও।
মেসিকে সংবাদ সম্মেলনে পেয়ে ব্যালন ডি’অর নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেছেন সাংবাদিকরা। তবে ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান এই পুরষ্কারের প্রশ্নে মেসি ছিলেন বেশ নির্জীব, যেন এই পুরষ্কার নিয়ে কোনো আগ্রহই নেই তার। ব্যালনের প্রসঙ্গ এলে মেসি বলেন, ‘সত্যি হচ্ছে, এটা নিয়ে আমি অতটা ভাবছি না। যদি পুরস্কারটা পাই, ভালো। আর যদি না পাই, কিছুই আসে যায় না।’
ব্যালন ডি’অর নিয়ে এমন নির্লিপ্ততা কেন সেটার কারণও অবশ্য জানিয়েছেন মেসি, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারে এটা অনেকবার বলেছি যে ব্যালন ডি’অর গুরুত্বপূর্ণ একটা পুরস্কার। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এটা সবচেয়ে সুন্দর পুরস্কার। কিন্তু আমি কখনোই এটাকে অতটা গুরুত্ব দিইনি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলীয় অর্জন।’
মেসি আরও বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান যে ক্যারিয়ারে সবকিছু জিতেছি। আমার ক্যারিয়ারে যে অপূর্ণতা ছিল, সেই বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পর আমি ব্যালন ডি’অর পুরস্কার নিয়ে কমই ভাবছি। আমার সেরা পুরস্কার ছিল বিশ্বকাপ জয়, আর এখন আমি মুহূর্তগুলো উপভোগ করছি।’