জাতীয় ডেস্ক:
জার্মানের মিউনিখ সফর নিয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমনের বক্তব্য শুধরে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য দেয়ার সময় সুমনকে শুধরে দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যারিস্টার সুমন প্রথমে বলেন, ‘বার্লিন থেকে প্রধানমন্ত্রী যে কথাটি বলেছেন, ফিলিস্তিনে যা হচ্ছে তা গণহত্যার চেয়ে কম নয়।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে শুধরে দেন। মনে করিয়ে দেন তিনি জার্মানির মিউনিখ সফরে গিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে শুধরে সুমন।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে বড় বড় মুসলিম রাষ্ট্রের সরকার প্রধানরা এমন কথা বলার সাহস রাখেননি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সাহস দেখিয়েছেন। এর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই সরকার প্রধানের সমালোচনা করাও কঠিন হয়ে যায়, যিনি বিশ্বের দরবারে দাঁড়িয়ে এমন শক্তি এবং সাহস দেখাতে পারেন।’
এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমাদের অনেক কিছুর অভাব থাকলেও একজন প্রধানমন্ত্রী আছেন যার সামনে দাঁড়িয়েও সমালোচনা করা যায় এবং তিনি এটা নির্বিঘ্নে সহ্য করেন।’
এরপর মূল প্রশ্নে আসেন ব্যারিস্টার সুমন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমার আসনে চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা। দুই উপজেলায় একই জনসংখ্যা রয়েছে। মাধবপুরে সাতটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। তবে চুনারুঘাটে ১৭টি চা বাগান, দুটি রিজার্ভ ফরেস্ট রয়েছে অথচ একটি ফাঁড়িও নাই। আপনারা যে নীতিমালার কথা বলছেন, এর আওতায় গিয়ে কী করলে সাতটির জায়গায় চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য অন্তত দু-একটি ফাঁড়ি দিলেও আমি চালিয়ে নিতে পারবো।’
ব্যারিস্টার সুমনের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, যেখানে প্রয়োজন সেখানেই কিন্তু আমরা পুলিশ বাহিনী নিয়োগ করি। যেখানে প্রয়োজন তদন্ত কেন্দ্র করছি, থানা করছি, তাৎক্ষণিক ক্যাম্পের ব্যবস্থা করছি। সংসদ সদস্য সুমনের এলাকায়ও যদি প্রয়োজন দেখা দিলে নিশ্চয় আমরা ব্যবস্থা নেবো। তবে আমাদের নীতিমালা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওইখানকার পুলিশ সুপারের মাধ্যমে চিঠি পাঠালে আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমি মনে করি, ওই এলাকা খুব সুন্দর অবস্থায় রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো। এরপরও সংসদ সদস্য যেহেতেু প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, আমরা এটা বিবেচনা করবো।’