জাতীয় ডেস্ক :
ডাকাতির আগে বোমা মেরে এলাকা ফাঁকা করে আতঙ্ক ছড়ানো দুর্ধর্ষ চক্রটির মূল হোতা ল্যাংড়া হাসানসহ তার পাঁচ সহযোগী অবশেষে গোয়েন্দা জালে। সম্প্রতি রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় বোমা ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ল্যাংড়া হাসানসহ ছয়জনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, হাসান জমাদ্দার ওরফে ল্যাংড়া হাসান দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। মূলত সে ভারতে বসে সহযোগীদের সহায়তায় বিভিন্ন এলাকার স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির পরিকল্পনা করত। গত ১০ বছরে ৩০টির বেশি ডাকাতি করেছে ল্যাংড়া হাসানের দল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে (২৯ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গোয়েন্দা প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন: মো. আরিফ (২৬), মো. আইনুল হক ওরফে ভোলা (৪২), মো. সাইফুল ইসলাম মন্টু (৪৫), মো. আনসার আলী (৫০), মো. শাহীন (৩৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, পাঁচটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ল্যাংড়া হাসান ভারতে বসে সহযোগীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকার স্বর্ণের দোকান টার্গেট করত। এরপর ডাকাতির আগে তারা সেই দোকানের আশপাশে একটি বাসা ভাড়া নেয়। তারপর ডাকাত দলের সদস্যরা দোকানের আশপাশে রেকি করে প্রস্তুতি নিত। সবকিছু ঠিক হলে হাসান ভারত থেকে এসে দলে যোগ দিত। প্রথমে বোমা ফাটিয়ে ও গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ৬ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে দোকানের স্বর্ণালংকার লুট করে আগে থেকে ঠিক করে রাখা গাড়িতে করে পালিয়ে যেত।
গ্রেফতার চক্রের সদস্যদের স্বীকারোক্তির কথা উল্লেখ করে হারুন বলেন, চক্রটি হাসানের নেতৃত্বে সারা দেশে ২৫ থেকে ৩০টি ডাকাতি করেছে। এ ডাকাতির মাধ্যমে হাজার হাজার ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়েছে।
চক্রটি সম্প্রতি কেরানীগঞ্জে ডাকাতি করার পর ফেনীতে ডাকাতি করে। সেখানে ডাকাতির সময় একজনকে গুলিও করে তারা। সেই ব্যক্তি পরে মারা যান। খিলগাঁও এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় রামপুরা থানায় ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তারা।
