বাণিজ্য ডেস্ক :
সাজুল নামের বেনাপোল স্থলবন্দরের এক হ্যান্ডলিং শ্রমিকের ওপর হামলার অভিযোগে অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে চার ঘণ্টার কর্মবিরতিতে বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে কর্মবিরতি তুলে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। আহত শ্রমিককে গুরুতর জখম অবস্থায় যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৩ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেনাপোল বন্দরে কর্মবিরতি ছিল।
এর আগে শুক্রবার (১১ মার্চ) রাতে বেনাপোলের পুটখালী সীমান্তে একজন শ্রমিককের ওপর ইউপি চেয়ারম্যান গফফারের লোকজন হামলা করেন বলে শ্রমিকরা অভিযোগ তোলেন।
এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দরের ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি খলিলুর রহমান জানান, পুলিশ অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে কর্মবিরতি তুলে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। আহত শ্রমিককে গুরুতর জখম অবস্থায় যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কর্মবিরতির বিষয়ে বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করায় দুপুরের পর থেকে আবারও পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত তাদের আটকে থাকা পণ্য খালাস নিতে পারেন, সংশ্লিষ্টদের সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শ্রমিক কর্মবিরতিতে রোববার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্দরে পণ্যের চালান খালাস বন্ধ ছিল। এতে জরুরি পণ্য খালাস নিতে না পেরে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখ পড়েন।