বাণিজ্য ডেস্ক:
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সুতা ও কাপড় তৈরি কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করেছে। এসময় শ্রমিকরা ডেনিম এশিয়া নামক একটি কারখানায় ভাঙচুর করে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরের পর থেকে উপজেলার সফিপুরের বিভিন্ন সুতা ও কাপড় তৈরির কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলনে অংশ নেন।
কারখানার ভিতরে কর্মরত থাকা শ্রমিকরা বেরিয়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করলে বিক্ষিপ্ত শ্রমিকরা শান্ত হয়। পরে সফিপুর এলাকায় অবস্থিত শাহাবুদ্দিন স্পিনিং, যমুনা স্পিনিং ,মালেক স্পিনিং, হানিফ স্পিনিং, করতোয়া স্পিনিং, জমজম স্পিনিংসহ অন্যান্য স্পিনিং ও নিটিং কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুই পাশের সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিল্প পুলিশ এসে শ্রমিকদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে।
শিল্প পুলিশের কর্মকর্তারা শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হয়। বিক্ষিপ্ত শ্রমিকদের শিল্প পুলিশ বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে মহাসড়ক থেকে নামিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে শ্রমিকরা বিভিন্ন কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান করে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তারা ডেনিম এশিয়া নামক একটি কারখানায় ভাঙচুর করে।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, সর্বনিম্ন বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক, সুতাসহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে। ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সরকার তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করেছে। গত মাসের বেতন চলতি মাসে আনতে গেলে তাদের পূর্বের বেতন ধরিয়ে দেয়। বাড়তি বেতন না পেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জিজ্ঞেস করলে তারা নানান তাল বাহানা করে। আন্দোলনে শুরু হলে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের জানায়, তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। সুতা ও কাপড় তৈরির কারখানার শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করেনি সরকার। এরপর থেকেই শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ তৈরি হয়।
শিল্প পুলিশ গাজীপুর -১ এর ওসি নিতাই চন্দ্র বলেন, শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করি। পরে তারা বিভিন্ন কারখানার সামনে অবস্থান করে আন্দোলন করে। নাশকতা এড়িয়ে শ্রমিকদের নিরাপদে তাদের বাড়ি পাঠাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।