অনলাইন ডেস্ক :
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে রেমডেসিভির ওষুধটি স্বীকৃতি পাওয়ার পর বাংলাদেশও এর উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পন্নের পথে রয়েছে। এরইমধ্যে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং এসকেএফ তাদের উৎপাদিত রেমডেসিভিরের নমুনা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে জমা দিয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক রুহুল আমিন শনিবার (৯ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রুহুল আমিন বলেন, গত বুধবার বেক্সিমকো তাদের ওষুধের নমুনা জমা দিয়েছিল। আর এসকেএফ দিয়েছে আজ ( ৯ মে), যদিও তাদের জমা দেওয়ার কথা ছিল আগামীকাল।
তিনি বলেন, বেক্সিমকোর ওষুধের পরীক্ষা শুরু হয়েছে আগেই, এসকেএফের নমুনা জমা হলো মাত্র, হয়তো আজ অথবা আগামীকাল থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। এখন এই পরীক্ষাতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তারা বাজারজাত করার অনুমতি পাবে।
এসকেএফ উৎপাদিত রেমিভির
এর আগে গত ৪ মে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর রেমডেসিভির উৎপাদনের জন্য বেক্সিমকো, এসকেএফ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসকে অনুমতি দেওয়ার কথা জানায়। পরে আরও দুটি প্রতিষ্ঠান পপুলার এবং অপসোনিনও এ ওষুধ উৎপাদনের অনুমতি পায়।
এর আগে গতকাল ৮ মে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ রেমডেসিভির উৎপাদন ধাপ শেষ করেছে বলে জানিয়েছিল দেশীয় প্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) ড. মুজাহিদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, শুক্রবার সকালে দেশে প্রথমবারের মতো করোনা চিকিৎসায় কার্যকর জেনেরিক রেমডেসিভির উৎপাদন কাজ শেষ হয়েছে। আমরা ওষুধটি ‘রেমিভির’ নামে বাজারজাত করবো। তবে এর আগে আরও কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে।