জাতীয় ডেস্ক:
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন ছিল না। ভবনটি শুধু অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে লাগা আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভবনটিতে ৮টি রেস্তোরাঁ, ১টি জুসবার ও একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল। ছিল মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম এবং পোশাক বিক্রির দোকানও।
রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রকল্পের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ভবনটির এক থেকে সাততলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন নেয়া হয়েছে। তবে তা শুধু অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য। রেস্তোরাঁ, শোরুম বা অন্য কিছু করার জন্য অনুমোদন নেয়া হয়নি।
এদিকে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ আলম জানান, নিচের একটি ছোট দোকানে প্রথমে আগুন লেগেছিল। সেখানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে তারা প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন। পরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ মানুষই ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরোধে মারা গেছেন।
তিনি বলেন, ভবনটিতে একটি মাত্র সিঁড়ি ছিল। দুইটি লিফট ছিল। ভবনের নিচ তলার প্রবেশমুখে আগুন লাগার পর কেউ নামতে পারেনি।
খুরশীদ আলম বলেন, কারা সিঁড়িতে সিলিন্ডার রেখেছে তা বের করা হবে। আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারাও রিপোর্ট দেবে।
তারও আগে সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, এ ঘটনায় দ্বগ্ধ চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরাও শঙ্কামুক্ত নন বলেও জানিয়েছেন তিনি।