হোম জাতীয় বেইলি রোডের আগুন: যে ৪০ জনের মরদেহ বুঝে পেলেন স্বজনরা

বেইলি রোডের আগুন: যে ৪০ জনের মরদেহ বুঝে পেলেন স্বজনরা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 118 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া ৪৬ জনের মধ্যে ৪০ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে স্বজনরা এসে শনাক্তের পর তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে এই হস্তান্তর কাজ শুরু হয়।

ঢাকা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। স্বজনরা তাদের চেহারা, জামাকাপড় দেখে শনাক্ত করেন। পরে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে মরদেহগুলো তাদের কাছে দেয়া হয়েছে।

শনাক্ত না হওয়া ছয়জনের মরদেহের ভেতর পাঁচজনেরই চেহারা বোঝা যাচ্ছে। তবে একটি মরদেহ পুড়ে একেবারে অঙ্গার হয়ে গেছে। সেই মরদেহটি ডিএনএ টেস্ট ছাড়া হস্তান্তর করা সম্ভব হবে না।

হস্তান্তর হওয়া ৪০ জন হলেন- ঢাকার নুরুল ইসলাম (৩২), ঢাকার পপি রায় (৩৬), যাত্রাবাড়ীর সম্পুন্না পোদ্দার (১২), কুমিল্লার জান্নাতিন তাজরীন (২৩), ঢাকার নাজিয়া আক্তার (৩১), ঢাকার আরহাম মোস্তফা আহমেদ, ঢাকার মাইশা কবির মাহি (২১), ঢাকার মেহেরা কবির দোলা (২৯), কুমিল্লার পম্পা সাহা (৪৭), মাদারীপুরের জিহাদ হোসেন (২২), মৌলভীবাজারের আতাউর রহমান শামিম (৬৩), যশোরের কামরুল হাবিব জামান রকি (২০), টাঙ্গাইলের মেহেদী হাসান (২৭), কুমিল্লার ফৌজিয়া আফরিন রিয়া (২২), কুমিল্লার নুসরাত জাহান শিমু (১৯), ঢাকার সৈয়দা ফতেমাতুজ জোহরা (১৬), ঢাকার সৈয়দ আব্দুল্লাহ (৮), ঢাকার স্বপ্না আক্তার (৪০), মুন্সিগঞ্জের জারিন তাসনিম প্রিয়তি (২০), নারায়ণগঞ্জের শান্ত হোসেন (২৩), ভোলার দিদারুল হক (২৩), হবিগঞ্জের রুবি রায় (৪৮), হবিগঞ্জের প্রিয়াঙ্কা রায় (১৮), ঝালকাঠির তুষার হাওলাদার (২৬), পটুয়াখালীর জুয়েল গাজী (৩০), নোয়াখালীর আসিফ (২১), চাঁদপুরের মিনহাজ উদ্দিন (২৫), ভোলার নয়ন (১৭), পাবনার সাত্তার হোসেন (২০), পিরোজপুরের তানজিলা নওহিন (৩৫), ঢাকার লুৎফুন নাহার লাকী (৫০), শেরপুরের শিপন মিয়া (২১), ঢাকার, সংকল্প (৮), ঢাকার আলিশা (১৩), বরিশালের নাহিয়ান আফিন (১৯), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আমেনা আক্তার (১৩), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশরাফুল ইসলাম (২৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সৈয়দ মোবারক হোনের (৪৮), ঢাকার নাফিসা ইসলাম (২০), বরগুনার নাঈম (১৮)।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও এনএসআই। এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন ভর্তি আছেন। তাদের প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আহতদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার সরকার বহন করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন