জাতীয় ডেস্ক:
দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দিল্লিতে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত কৌশলগত সংলাপ। বেসরকারি পর্যায়ের দুদিনব্যাপী এই সংলাপে দুই দেশের সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব পাবে।
বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও ভারতের অনন্ত অ্যাস্পেন সেন্টার যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করছে।
সিপিডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিপিডি ও অনন্ত অ্যাস্পেন সেন্টারের উদ্যোগে এটা দ্বিতীয় কোনো সংলাপ। প্রথম সংলাপটি হয়েছিল গত বছরের (২০২২) মে মাসে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ের নীতি নির্ধারক, বিশেষজ্ঞ ও অংশীদাররা আলোচনায় অংশ নেবেন। তারা পানি বণ্টন, সড়ক, রেল, উপকূলীয় বন্দর ব্যবস্থা, জ্বালানি ও ডিজিটাল কানেকটিভিটিসহ মাল্টিমোডাল কানেকটিভিটি নিয়ে আলোচনা করবেন।
এছাড়া আর্থিক খাতে সহযোগিতা ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মতো বিষয়ে মতবিনিময় এবং বিকাশমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিবর্তনও মূল্যায়ন করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবেশী ভারত-বাংলাদেশ যখন জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে, তখন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কিভাবে পুনর্গঠন করা যায় তা আলোচনার একটা সুযোগ করে দেবে এই সংলাপ।
এতে বাংলাদেশ থেকে যারা অংশগ্রহণ করবেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, সিপিডির ডিসটিনগুইশড ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।
আরও থাকবেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শহীদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মহসিন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. ম তামিম ও বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শামস মাহমুদ।