ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অনুষদ ভবন এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবনের মাঝামাঝি স্থানে একাধিক পুরনো বৃক্ষ নিধন করে ‘বৈশাখী মঞ্চ’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় অনুষদ ভবন এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ সংলগ্ন ‘বটতলা’ এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘সংস্কৃতি চাই তবে শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস করে নয়’, ‘বৃক্ষ নিধন বন্ধ করি, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করি’, ‘শব্দ দূষণ নয়, এসো শিক্ষার ভূষণ রক্ষা করি’, ‘গাছ বাঁচলে বাঁচবে দেশ, সুন্দর হবে পরিবেশ’, ‘যে গাছ থেকর অক্সিজেন নাও, সেই গাছই কেটে ফেলো?’ ও ‘শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করুন’ সহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বৃক্ষ হত্যা করে প্রমাণ করেছে এটা মঞ্চ তৈরির জায়গা না। দুইটা একাডেমিক ভবনের মাঝে মঞ্চ তৈরি করা একেবারে অপ্রাসঙ্গিক। এতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষার সুন্দর পরিবেশর বিঘ্ন ঘটবে। মুক্ত মঞ্চ হবে খোলামেলা পরিবেশে, একাডেমিক ভবনের পাশে নয়। আমার এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এদিকে, বৃক্ষ নিধন করে মঞ্চ নির্মাণের প্রতিবাদে একই স্থানে নতুন চারাগাছ রোপন করেছে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ। মঙ্গলবার বেলা ১০টায় ৩টি পুরনো কাটা গাছের স্থানে বিভিন্ন প্রজাতির ৪টি নতুন চারাগাছ রোপণ করে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। এসময় গাছের সাথে ‘গাছ কাটা নিষেধ’ লেখা সম্বলিত পোস্টার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রশাসনের বৃক্ষ নিধনের প্রতিবাদে আমরা বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি পালন করেছি। প্রশাসনকে বলতে চাই আমরা সাংস্কৃতিক চর্চার বিরোধী নই, তবে মঞ্চটি এমন জায়গায় স্থাপন করা হোক যেখানে একাডেমি কার্যক্রম বিঘ্ন না ঘটে।
এছাড়াও, বৃক্ষ নিধন করে মঞ্চ তৈরির পক্ষে-বিপক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের থেকে গণমতামত গ্রহণ করেছে ছাত্র মৈত্রী ইবি শাখা। বেলা সাড়ে ১১ টায় অনুষদ ভবন সংলগ্ন বটতলায় এ গণমতামত গ্রহণ কার্যক্রম পরিচালনা করে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এসময় বৃক্ষ নিধন করে মঞ্চ তৈরির পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থানের কারণ এবং উক্ত মঞ্চ কোথায় নির্মাণ করা যায়। এ মর্মে মতামত নেওয়া হয়।