হোম ফিচার বুয়েট ছাত্র হত্যা: মামলা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় পরিবার

শিক্ষা ডেস্ক :

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পলাশের মরদেহ উদ্ধারের তিন দিনেও মামলা হয়নি।

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মামলা কোন থানায় করবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তারা। এদিকে পুলিশ বলছে, পরিবারের কেউ এজাহার দিলেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে। দোষীদের খুঁজে বের করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে পুলিশ।

শনিবার (৫ নভেম্বর) বুয়েটে একটি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল পরশের। তাই শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে বুয়েটের ক্যাম্পাসের দিকে যাওয়ার কথা বলে ডেমরার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। কিন্তু ক্যাম্পাসেও যাননি, আবার বাসায়ও ফিরে আসেননি তিনি।

নিখোঁজের তিন দিন পর সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর বনানী ঘাট থেকে ভাসমান অবস্থায় পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-থানা পুলিশ।

পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার একটি পরীক্ষা দিয়ে দুপুরে বাসায় ফেরার কথা ছিল তার। তবে শুক্রবার সাড়ে এগারোটার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তার সবশেষ অবস্থান পাওয়া যায় রামপুরা থানায়। শনিবার নিখোঁজের ডায়েরি হয় রামপুরা থানায়। দুদিন পর সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় মেলে তার মরদেহ।

মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শেখ ফরহাদ সাংবাদিকদের জানান, ফারদিনের মাথা ও বুকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, মরদেহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাই চাইলে এই থানায় মামলা করা যাবে। আবার ফারদিনের সবশেষ অবস্থান রামপুরা থানা এলাকায় পাওয়া গেছে, সেখানে জিডিও করা হয়েছে, সেখানেও মামলা করা যাবে।

ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মামলা নিয়ে পারিবারিকভাবে আলোচনা চলছে। যে থানায় মামলা করলে তদন্তে সুবিধা হবে, সেই থানাতেই মামলা করব।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন