হোম জাতীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শেখ হাসিনা যথাযথ সম্মান দিয়েছেন : মমতাজ

জাতীয় ডেস্ক:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন এ দেশের গর্ব। এ দেশের অহংকার। সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের মধ্য যাত্রাপুর গ্রামে এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, একটা সময় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব দেওয়া হয়েছিল অসহায় মুক্তিযোদ্ধা। নামেমাত্র তাদের অনুদান দেওয়া হতো। জননেত্রী শেখ হাসিনাই আমাদের সেই ’৭১-এর বাংলার সূর্যসন্তানদের যথাযোগ্য মর্যাদা দেন। তিনি অসহায় শব্দটা বাদ দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাবে সম্মানিত করেন। আজ জাতির এই বীর সন্তানদের সম্মার্থে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারিভাবে দেওয়া হচ্ছে একতলা বিশিষ্ট বিল্ডিং। আর তার নামকরণ করা হয়েছে বীর নিবাস। এটা কিন্তু একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনারই অবদান।

পদ্মা ভাঙন রোধ নিয়ে মনতাজ বেগম বলেন, আপনাদের যে প্রধান সমস্যা ছিল নদী ভাঙন। এই পদ্মা নদী ভাঙন রোধে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধে কাজ করা হয়। শুধু তাই নয়, এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্নাণে ইতিমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের কাজও শেষ। অনেক জমির মালিক কিন্তু তার জন্য টাকাও পেয়ে গেছে। বর্তমানে স্থায়ী বাঁধের কাজটি প্রক্রিয়াধীন। খুব তাড়াতাড়িই এটার কাজ শুরু হয়ে যাবে।

মমতাজ বেগম আরও বলেন, আমার সময়ে কিন্তু বড় বড় রাস্তার কাজ যেগুলো ছিল, তা করা শেষ। এখন ছোটখাটো শাখা রাস্তা রয়েছে। যেগুলোর কাজ আগে করা হয়েছে, এখন হয়তো ভেঙে গেছে। এ জাতীয় রাস্তার কাজ ব্যতীত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার কাজ কিন্তু খুব একটা বাকি নেই। নির্বাচনের পরে এ রাস্তাগুলোর কাজও হয়ে যাবে, ইনশাল্লাহ।

আপনাদের ভালোবাসা আছে বলেই শেখ হাসিনা আমাকে আবারও নৌকা প্রতীক দিয়ে আপনাদের মাঝে পাঠিয়েছেন। তাই আর যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন, তারা যতই আওয়ামী লীগ দাবি করুক, নৌকা কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকেই দিয়েছেন। তাই আমি বলব, নৌকা হলো মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক। নৌকা হলো শেখ হাসিনার প্রতীক। তাই আগামী ৭ তারিখে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারও আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন। কারণ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে শেখ হাসিনার কোনোই বিকল্প নাই। আর তাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হলে অবশ্যই নৌকা প্রতীকেই ভোট দিতে হবে। কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

জনসভায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন