হোম ফিচার বিয়ের সাত দিনের মাথায় স্ত্রী সেলিনাকে মারধর করে তাড়িয়ে দিল স্বামী ফারুক হোসেন, আদালতে মামলা

 

নিজস্ব প্রতিনিধি :

বিয়ের পর মাত্র ১ সপ্তাহ সংসার করতে না করতেই স্বামী ফারুক হোসেন তার স্ত্রী সেলিনা পারভিনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। ২ লাখ টাকা দেওয়ার পরও আরও ৩ লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের কুলিয়া গ্রামের ফারুক হোসেন। নিরুপায় হয়ে স্ত্রী সেলিনা পারভিন একটি মামলা করেছেন সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে।

তবে ফারুক হোসেন দাবি করেছেন তাকে জোর করে ধরে নিয়ে গিয়ে বিবাহ রেজিস্ট্রারের সামনে স্বাক্ষর করিয়ে বিবাহ করানো হয়েছে বলে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। এসময় তাকে মারধর করে দুইজনের ছবিও তুলে রাখে তারা।

কুলিয়া ইউনিয়নের বালিয়াডাঙা গ্রামের সেলিনা পারভিন জানান, ফারুক হোসেনের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। এরই প্রেক্ষিতে গত ৯ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার থানাঘাটায় ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তাদের দুইজনের বিবাহ সম্পন্ন হয়। এ সংক্রান্ত কাবিননামাও ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে স্বাক্ষরিত হয়।

এদিকে বিয়ের পর বাড়ি আসতেই ফারুক হোসেন তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। সেলিনা পারভিন তাকে ২ লাখ টাকা দেন। কিন্তু আরও ৩ লাখ টাকা না দেওয়ায় মাত্র কয়েকদিনের মাথায় ফারুক তাকে বাড়ি থেকে মারধর করে বের করে দেয়।

সেলিনা পারভিন আরও জানান, ফারুক হোসেন একজন প্রতারক। তিনি আগে বিয়ে করেছেন। তার একটি সন্তানও আছে। অথচ তিনি আমাকে বলেছেন, আমিই তার প্রথম স্ত্রী। তিনি এসবের বিচার দাবি করে আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান সেলিনা পারভিন।

অভিযোগ করে সেলিনা পারভিন আরও বলেন, ফারুক তাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এমনকি একজন ইউপি সদস্যকে তাদের বাড়িতে এসে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। ফারুক এরই মধ্যে সেলিনার বাবা ও ভাইদের গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ প্রসঙ্গে ফারুক হোসেন বলেন, আমি কাউকে বিয়ে করিনি। আমার কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে বিয়ের ঘোষনা দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ মিথ্যা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন