জাতীয় ডেস্ক :
পার্লার থেকে কনে সাজিয়ে নেওয়া হচ্ছিল বিয়ের আসরে। সব ঠিকঠাক থাকলে কিছুক্ষণ পরেই সানাইয়ের সুর বেজে উঠার কথা ছিল। কিন্তু ঘটল ভিন্ন কিছু, মুহূর্তেই আনন্দ রূপ নিল বিষাদে।
সড়কে প্রাণ গেল কনের সঙ্গে থাকা তার ভগ্নীপতি আর ভাইয়ের মেয়ের। কনেসহ আরও তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ফেনীর শহরতলীর মঠবাড়ীয়া রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এখনও কোনো মামলা বা কেউ আটক না হলেও গাড়ি দুটি জব্দ করেছে পুলিশ।
নিহত জামাল হোসেন ও হাছনা আক্তার পলি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাদের মরদেহগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের পূর্ব ডেকরা গ্রামের ফারজানা আক্তার কলির সঙ্গে একই উপজেলার জগন্নাথ ইউনিয়নের বিজয়করা গ্রামের মোহাম্মদ শাকিলের বিয়ের দিন ধার্য ছিল।
এদিকে, কনে ফারজানা আক্তার কলি শহরের একটি পার্লার থেকে সাজগোজ শেষে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে নিজবাড়িতে ফেরার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী এক মাইক্রোবাসের সামনের চাকা বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদেরকে চাপা দেয়। এতে কনের বড় বোনের জামাই জামাল হোসেন ও ভাতিজি হাছনা আক্তার পলি ঘটনাস্থলে মারা যান।
ওই ঘটনায় আহত হয় কনেসহ আরও তিন যাত্রী। পরে স্থানীয়রা আহত কনে ফারজানা আক্তার কলিসহ তিনজনকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক কনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা দুমড়ে মুচড়ে গেছে। কাউকে আটক করা না গেলেও ওই মাইক্রোবাস পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।