হোম জাতীয় বিয়ানীবাজারের পরিত্যক্ত কূপ : জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হবে

বিয়ানীবাজারের পরিত্যক্ত কূপ : জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হবে

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 85 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক :

পুনঃখননের মাধ্যমে সিলেটের বিয়ানীবাজার-১ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হচ্ছে রোববার (২৭ নভেম্বর) রাতে। গ্যাসকূপটি ২০১৭ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি চলতি বছর দুটি কূপ পুনঃখননের মাধ্যমে ইতোমধ্যে দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করেছে।

দ্রুতগতিতে একের পর এক প্রক্রিয়াগুলো শেষ করে উৎপাদন সক্ষম করে তোলা হয়েছে সিলেটের বিয়ানীবাজার-১ নম্বর কূপ। পরিত্যক্ত ঘোষণার পাঁচ বছর পর ১০ সেপ্টেম্বর এই কূপের পুনঃখনন শুরু হয়।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. আব্দুল জলিল প্রামাণিক জানান, ১০ নভেম্বর গ্যাস প্রাপ্তি নিশ্চিত হওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে কূপের গ্যাস সরবরাহের জন্য রাতদিন পরিশ্রম করছেন সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ও বাপেক্সের প্রকৌশলীরা।

দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চাপের গ্যাসকূপ বিয়ানীবাজার-১ নম্বর কূপ থেকে রোববার রাতের মধ্যে গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে বলে জানান সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি চলতি বছর দুটি কূপ পুনঃখননের মাধ্যমে ইতোমধ্যে দেড় কোটি ঘনফুট গ্যাস সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করেছে। সিলেট গ্যাস ফিল্ড, বাপেক্স ও বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ২০২৫ সালের মধ্যে ব্যাপক গ্যাস উত্তোলনের মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ৪৬টি কূপ খনন ও পুনঃখননের মাধ্যমে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে কোম্পানি তিনটি।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড (এসজিএফএল) সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস তোলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবার উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষ দিকে আবারও তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এরপর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন (বাপেক্স) ওই কূপে অনুসন্ধানকাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুত পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ওই কূপে নতুন করে পুনঃখননকাজ (ওয়ার্ক ওভার) শুরু হয়। কূপে গ্যাস প্রাপ্তি নিশ্চিতের পর গত ১০ নভেম্বর থেকে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা শেষে কূপ থেকে দ্রুত জাতীয় সঞ্চালন লাইনে গ্যাস দেয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন