হোম খুলনাসাতক্ষীরা বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 78 ভিউজ

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:

আজ ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় “মানসিক স্বাস্থ্য সার্বজনীন মানবাধিকার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এবং 16 Days of Global Action এর ধারাবাহিক ক্যাম্পেইনের অংশ হিসাবে কালমেঘা কৃষি নারী সংগঠনের উদ্যোগে এবং বারসিক’র সহায়তায় দিবস উপলক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তনে বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যা সমাধানে করনীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়।

কালমেঘা কৃষি নারী সংগঠনের সভানেত্রী বনশ্রী রানী মন্ডলের সভাপতিত্বে ও বারসিক কর্মকর্তা বরসা গাইনের সঞ্চালনায় এ দিবস উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, বারসিকের ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, বিশ্বজিৎ মন্ডল,আল ইমরান, জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম, শিক্ষক দিলিপ মন্ডল, কৃষক পরিতোষ মন্ডল, শিক্ষার্থী, ফাল্গুনি, অনুপ কুমার, কৃষানী অনিমা রানী, কল্পনা রানী সহ আরো অনেকে। আলোচনায় বক্তরা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে খাদ্যের বিভিন্ন গুনাবলী এবং কিভাবে এসব খাদ্যে ভেজাল হচ্ছে আর কিভাবে মানসিক সমস্যা সম্মুখিন হচ্ছে সেসব দিক তুলে ধরেন।

সভায় অংশগ্রহনকারীরা জানান যে, ‘এখন আমরা শুধু বেঁচে থাকার জন্য খাবার খাই এ খাবারে নেই কোন স্বাদ। এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে শুধু রোগের বাসা। আমরা খাদ্যেও গুনাগুনকে গুরুত্ব না দিয়ে বেশিবেশি খাদ্য উৎপাদন করার কাজে ব্যস্ত, আর বেশি এ খাদ্য উৎপাদন করতে যেয়ে আমরা মৃত্যুর দিকে ঝুঁকে পড়ছি।’

তারা জানান‘বর্তমান সময়ে প্রবীন ব্যক্তিদের পাশাপাশি কম বয়সী ছেলে-মেয়েরা মানসিক সমস্যাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। মানসিক অসুস্থতার কারণে সমাজে এখন অস্তিরতা বাড়ছে, এ থেকে বাড়ছে আত্নহত্যার প্রবনতা। অনেকেই আত্নহত্যা না করে জড়িয়ে পড়ছে অপরাধমুলক কর্মকান্ডের সাথে ।’

তারা আরো জানান যে, প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। যার কারণে এলাকায় লবন পানির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এলাকা থেকে প্রাণবৈচিত্র্য কমতে শুরু করেছে। এলাকাতে দেখা দিচ্ছে পুষ্টির ঘাটতি। এছাড়াও নারীদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে নানান ধরনের রোগ ব্যাধি। তারা আরও বলেন বর্তমানে বিশেষ করে কিশোরীরা বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। তারা বয়ঃসন্ধিকালীন অনেক বিষয়ে না জানার কারণে সঠিক ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবনযাপন করতে পারে না। ফলসরূপ তারা জরায়ু জনিত অনেক ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।

আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ভেজালমুক্ত খাবারের দরকার। আজ আমরা সকলে যদি এমন অঙ্গিকার নেই যে ভেজাল মুক্ত খাবার উৎপাদন করবো ও অন্যেদের খাবাবো। নিজে বাচবো এবং অন্যদের বাচাবো।’
সভায় কালমেঘা গ্রামের কৃষক-কৃষানী, শিক্ষার্থী ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন