নিউজ ডেস্ক:
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ইমেজের ক্ষতি হয়েছে বলেই ভিসার ঘটনাটা ঘটছে। কেন ক্ষতি হয়েছে? কারণ আমি আপনাদেরকে আরও দুই-চারবার বলেছি, পৃথিবীতে আমার জানার মধ্যে আর কোনও দেশ নেই, যেখানে এই পরিমাণ ফেক ডকুমেন্টস তৈরি করে। তিনি বলেন, ‘‘সবচেয়ে দুঃখজনক এমনকি যেখানে যেখানে সঠিক ডকুমেন্ট দেওয়া সম্ভব, সেখানেও দেখা যায়— ফেক ডকুমেন্ট জমা দেয়।’’
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘‘কারণ কষ্ট করতে রাজি না। একটা ব্যাংক স্টেটমেন্ট যে ব্যাংকে গিয়ে নেবে, তার পরিবর্তে ওই এজেন্টদের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। সে একটা ফেক স্টেটমেন্ট দিয়ে দেয়। তারপর ভিসা নিয়ে সমস্যা হয়। আজকেও আমার একজনের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং একই কথা একই বক্তব্য—কী করবো বলো, তোমাদের এখান থেকে এত চেক হয়েছে।’’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ব্রিটেনের ব্যাপারটাও তো আপনারা দেখেছেন, বলা হচ্ছে এমনকি আইএলটিএস-এর রেজাল্ট পর্যন্ত ফেক সাবমিট করা হচ্ছে। কাজেই এই ব্যাপারে আমি মনে করি না যে, আমার মিনিস্ট্রির খুব বেশি কিছু করার আছে। কারণ আমরা যদি আমাদের এই ফেক ডকুমেন্টস তৈরি করার প্রসেসটাকে বন্ধ করতে না পারি, যেটা আমার এখতিয়ার বহির্ভূত, ততক্ষণ পর্যন্ত এই সমস্যা চলতেই থাকবে। সমস্যাটা আমার ঘাড়ে যাবে প্রায়ই। কারণ জেনুইন যারা ভিসা পাওয়ার কথা তারাও ভুগবে, তাদেরও কাগজপত্র খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা আসলে চেষ্টা করছি— প্রত্যেকটা দেশের সঙ্গে যাদের এখানে মিশন নেই, অথবা দিল্লি থেকে বিশেষ করে যাদের কাজ করতে হয়, যেহেতু আমাদের ভারতের ভিসা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে ডাবল এন্ট্রি ভিসা লাগে। আমরা চেষ্টা করছি, সব জায়গাতেই যদি তারা এখানে, আমি কাউকে কাউকে রিকোয়েস্ট করেছি—তোমরা একজন অফিসার দিয়ে একটা জাস্ট কনসুলেট করো বা মিশন খোলো। একজন অফিসার দিয়ে, বিষয়টা খুব বেশি ব্যয়বহুল তোমাদের জন্য হবে না। কিন্তু আমাদের অনেক সুবিধা হতে পারে, তোমাদেরও সহজ হতে পারে। দেখা যায়, এতে খুব সময় লাগে, প্রত্যেকটাই একটা
