হোম আন্তর্জাতিক বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম

বিশ্ববাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 58 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আবারও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। বুধবার (১১ জুন) সকাল পর্যন্ত বাজারে এই মৃদু পতন লক্ষ্য করা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার চলমান বাণিজ্য আলোচনা এখনও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে—এমন অনিশ্চয়তা এবং চীনের দুর্বল চাহিদার পাশাপাশি ওপেক প্লাস জোটের উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা তেলের দামে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। খবর রয়টার্সের।

বাজারের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্সের দর প্রতি ব্যারেল ১৫ সেন্ট বা ০ দশমিক ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬ দশমিক ৭২ ডলার। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম কমেছে ১০ সেন্ট বা ০ দশমিক ২ শতাংশ, যা বর্তমানে প্রতি ব্যারেল ৬৪ দশমিক ৮৮ ডলারে লেনদেন হচ্ছে।

লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দিনব্যাপী আলোচনার শেষে একটি সমঝোতার কাঠামো তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক। তিনি বলেন, এই সমঝোতা কার্যকর হলে চীন বিরল খনিজ ও চুম্বকজাত পণ্যের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে পারে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই অর্থনীতি ও তেল ভোক্তা দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক বিশ্ববাজারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।

বাজার বিশ্লেষক প্রিয়াঙ্কা সচদেবা জানান, ‘মূল্য সংশোধনের পেছনে রয়েছে প্রযুক্তিগত মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা এবং আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাব।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলোচনার বিস্তারিত সম্পর্কে ব্রিফিং পাওয়ার পরেই চুক্তি অনুমোদন করবেন বলে জানিয়েছেন লুটনিক।

অন্যদিকে, ওপেক প্লাস জোট জানিয়েছে, তারা জুলাই মাসে দৈনিক ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এটি উৎপাদন হ্রাস তুলে নেওয়ার ধারাবাহিকভাবে চতুর্থ দফার পদক্ষেপ। তবে বাজার বিশ্লেষকদের মতে, অতিরিক্ত সরবরাহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চাহিদা হয়তো তৈরি নাও হতে পারে।

ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের জলবায়ু ও পণ্য বিশ্লেষক হামাদ হুসেইন বলেন, ‘ওপেক প্লাসের অভ্যন্তরীণ মৌসুমি চাহিদা কিছুটা ভারসাম্য আনতে পারে, তবে বছরের শেষ নাগাদ ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৬০ ডলারে নেমে আসার সম্ভাবনাই বেশি।’

এদিকে, মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের (ইআইএ) তেল মজুতসংক্রান্ত সাপ্তাহিক প্রতিবেদন বুধবার প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। রয়টার্স পরিচালিত এক জরিপে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত তেলের মজুত ২০ লাখ ব্যারেল কমলেও ডিজেল ও গ্যাসোলিনের মজুত সামান্য বেড়েছে। মার্কেট সূত্রের বরাতে জানা গেছে, শুধু অপরিশোধিত তেল মজুতই ৩ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল হ্রাস পেয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন