হোম খেলাধুলা বিশেষ সাক্ষাৎকার, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের স্মরণীয় বিশ্বকাপ হবে: আশরাফুল

খেলাধূলা ডেস্ক :

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মানেই বাংলাদেশের জন্য অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতো। গেল আসরগুলোর মূলপর্বে বাংলাদেশের জয় কেবল একটি। সেটিও ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে। আর সেই ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে বাংলাদেশের নেতৃত্বে ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। সময় সংবাদের প্রতিবেদক মো. ফখরুল ইসলামকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নিয়ে আশার কথা শোনালেন সাবেক এ অধিনায়ক।

এশিয়া কাপ থেকে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভরাডুবি কিংবা আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে শোচনীয় হার। দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স কেবল হতাশার। বলা হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের তলানিতে থেকেই আরেকটি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দল নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?

মোহাম্মদ আশরাফুল: যত বিশ্বকাপ গেছে এবার বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি অর্জনের তথা স্মরণীয় একটি হতে যাচ্ছে।

সেমিফাইনালে যেতে পারবে বাংলাদেশ?

মোহাম্মদ আশরাফুল: সেমিফাইনালে যেতে পারব কি না, এখনই বলা যাচ্ছে না। বিশ্বকাপের মূলপর্বে এখন পর্যন্ত আমাদের একটামাত্র জয়–ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এবার একটা সম্ভাবনা আছে, আশা করি দুইটা ম্যাচে জয় পাব, ইনশাআল্লাহ। ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও আমাদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ে। দুটি ম্যাচ অন্তত জয়ের আশা রাখি।

প্রশ্নটা রফিক ভাইকেও করেছিলাম। আপনাকেও করছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমরা কোনোকালেই ভালো ছিলাম না। দলের চেহারা বদলাতে ভারতীয় কোচ শ্রীধরন শ্রীরামকে আনা হলো। তিনি এসে ইমপ্যাক্ট ইনটেন্টের মতো কয়েকটি নতুন শব্দের সঙ্গে পরিচয় করালেন। বোর্ড, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে সমর্থক–সবাই আশা দেখছেন তাকে ঘিরে। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন এখনো দেখা যাচ্ছে না। তাকে নিয়ে আপনি কতটা আশাবাদী।

মোহাম্মদ আশরাফুল: শ্রীরাম অনেক উঁচু মানের কোচ। তার সঙ্গে আমার একটা ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। খেলোয়াড় হিসেবে সে অসাধারণ ছিল। কোচ হিসেবেও সে যথেষ্ট মানসম্মত ও সমৃদ্ধ। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী দলের কোচ ছিল। এ ছাড়া আইপিএলেও সে নিয়মিত কোচিং করায়। আমার মনে হয় সে এখন যে কাজগুলো (এক্সপেরিমেন্ট) করছে, খারাপ না। আমাদের ধৈর্য ধরা উচিত। আসলে আমাদের তো তেমন খেলোয়াড়ও নেই। আপনি কাকে দলে নেবেন।

মোহাম্মদ রফিকের সাক্ষাৎকার পড়ুন-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে বিশ্বকাপে একটা সুযোগ দেয়া উচিত ছিল: রফিক

অনেক দিন পর দলে ফিরেছিলেন সাব্বির রহমান। কিন্তু যেমন এলেন তেমনি আবার বাদও পড়ে গেলেন। তাকে বিশ্বকাপ দলে নেয়াটা কতটা যৌক্তিক ছিল?

মোহাম্মদ আশরাফুল: অবশ্যই সাব্বিরকে দলে নেয়াটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমার মনে হয় তার অতীত রেকর্ড কিছুটা ভালো ছিল, ভালো মারতে পারত। ফিল্ডিংটাও ভালো পারে। সে কারণেই দলে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এভাবে তো আর হয় না।

সাব্বিরের বদলি হিসেবে সৌম্যকে দলে নেয়া হয়েছে। তাকে নিয়ে কী বলবেন?

মোহাম্মদ আশরাফুল: দেখুন, আপনাকে এটা মানতেই হবে, সাব্বির-সৌম্য অবশ্যই কোয়ালিটি ক্রিকেটার। তাদের বেসিকটাও স্ট্রং। বিদেশি কোচরাও এ ধরনের ক্রিকেটারদের পছন্দ করে। তারা এসে যখন রেকর্ড দেখে, তখন এমন ক্রিকেটারদের দলে চায়। এ ছাড়া ওদের এখনো বয়স আছে। তাই গুরুত্ব পাচ্ছে। তা না হলে ইমরুল কায়েসকে নেয়া যেত। হয়তো বয়সের কারণে সে সুযোগটা পাচ্ছে না। সে দলে থাকলে এখন যে ওপেনিংয়ে সমস্যাটা হচ্ছে ,এটাও হয়তো থাকত না। আমাদের দেশে বয়সটাকে বড় করে দেখা হয়। কিন্তু আপনি যদি অন্যান্য দেশের দিকে তাকান, দেখবেন তারা এসব বিবেচনায় নেয় না।

অনেকে মনে করেন, বিশ্বকাপের মঞ্চে মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা থাকলে ভালো হতো। অন্তত একটা সুযোগ দেয়া উচিত ছিল তাদের। এ ব্যাপারে আপনার কী মত?

মোহাম্মদ আশরাফুল: রাখতে চাইলে রাখতে পারত। আবার না রাখায় যে খুব ক্ষতি হয়ে গেছে সেটাও নয়। কারণ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওদের যদি রেকর্ড দেখেন, অত আহামরি কিছু না। তারা খেলতে পারলে হয়তো তাদের ক্যারিয়ারে একটা বিশ্বকাপ যোগ হতো। কিন্তু দলের লাভ হতো বলে মনে হয় না।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন