হোম জাতীয় ‘বিরোধী দল চাই, রাষ্ট্রবিরোধী দল চাই না’

জাতীয় ডেস্ক :

আমরা দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল চাই, কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী দল চাই না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে ‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস অদম্য আত্মবিশ্বাস’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল অবশ্যই থাকবে। না থাকার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু আমরা শক্তিশালী ও গঠনমূলক বিরোধীদল চাই। কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী ও স্বাধীনতা বিরোধী মানুষের অকল্যাণকর দল চাই না।

এ প্রসঙ্গে মো. তাজুল ইসলাম আরও বলেন, যে দল মানুষের কল্যাণে কাজ করবে, সৃজনশীল হবে, সরকারের দোষ-ত্রুটি-ভুল-ভ্রান্তি ধরিয়ে দিয়ে জনগণের সামনে তুলে ধরে সরকারকে জবাবদিহির ব্যবস্থা করবে। এমন বিরোধী দল দেশে দরকার। এটা হলে সরকার তাদের দায়িত্ব পালন আরো বেশি সতর্ক হবে। কিন্তু দেশকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য, উন্নয়নকে ব্যাহত করার জন্য এবং বহিঃবিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দেয় এমন বিরোধী দল না থাকায় ভাল। এটি একজন অসুস্থ মানুষও চাইবে না বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক দলের কাজ হচ্ছে দেশকে পরিচর্যা করা, মানুষের সেবা করা। ইচ্ছাকৃতভাবে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা না। আর এটা করার অধিকার কারও নেই। যত ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট শেখ মুজিব এবং ছোট্ট শিশু রাসেলকে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করে। রাসেল হত্যার নিষ্ঠুরতা যদি নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করা যায় তাহলে তারা সেদিনের নির্মমতা অনুধাবন করতে পারবে। শেখ রাসেল ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। তাঁর সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে জানতে হবে। শেখ রাসেলের জীবনি পড়লে বর্তমান প্রজন্মের সৃজনশীলতা আরও বাড়বে।

তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ রাসেলকে কেন হত্যা করা হয়েছে? তার কী দোষ ছিল? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছেন, মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দিয়েছেন। দেশকে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার জন্য কী বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে? এসব প্রশ্নে আমাদেরকে খুব ব্যথিত করে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এলজিইডি ও ডিপিএইচই’র প্রধান প্রকৌশলী, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এনআইএলজির মহাপরিচালকসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ/ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের ৫৭ তম জন্মবার্ষিকী (শেখ রাসেল দিবস) উপলক্ষে রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্থাপিত জাতির পিতা এবং শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক করে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ই আগস্ট সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন