হোম জাতীয় বিবৃতিতে ড. ইউনূসের মামলায় প্রভাব পড়বে না: দুদক সচিব

জাতীয় ডেস্ক:

নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্বের বিশিষ্টজনদের দেয়া বিবৃতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলায় প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সংস্থাটির দায়ের করা মামলা আইন ও বিধি অনুযায়ী চলবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।

মাহবুব হোসেন বলেন, দুদক আইনে যে বিষয়ে বলা হয়েছে সে আলোকেই অনুসন্ধান ও তদন্ত হয়। তাই কোনো বিবৃতি মামলায় প্রভাব ফেলবে না। আইন অনুযায়ী মামলা চলবে।

দেশে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার চলছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ। বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানা অথবা কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে তাকে। অবশ্য মামলা মোকাবিলায় দেশের আদালতে আইনি সব সুযোগ নিয়েছেন ড. ইউনূস।

তবে আইনি লড়াইয়ে হেরে তিনি এবার বিচারককে প্রভাবিত করতে ভিন্ন কৌশলে হাঁটছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নিজের পক্ষে শতাধিক নোবেল বিজয়ীসহ ১৮৩ বিশিষ্ট ব্যক্তির স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোভিত্তিক ভাড়াটে জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান সিজিওয়ান পিআর নিউজওয়্যার গত ২৭ আগস্ট তাদের ওয়েবসাইটে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে।

এই খোলা চিঠি প্রকাশের মাস দুয়েক আগে বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে ইউনূসের পক্ষে খেলা চিঠি দেন ৪০ বিশ্বনেতা। অভিযোগ আছে, লবিস্টের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে ওই বিবৃতি দেয়াতে ড. ইউনূসের খরচ হয় ৮০ লাখ টাকা।

এর আগে, দানকর ফাঁকির মামলা নিয়েও গড়িমসি করেন ড.ইউনূস। এ আদালত, সে আদালত ঘুরে তিনি এ থেকে বাঁচার চেষ্টা চালান। সবশেষ ২৩ জুলাই সর্বোচ্চ আদালত বলেন, প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতেই হবে তাকে। দুদিন পরই বকেয়া দানকর হিসেবে ১২ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার ৬০৮ টাকা পরিশোধ করেন ড. ইউনূস।

সবশেষ ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রমিকের টাকা পাচারের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে। ২১ কোটি টাকারও বেশি পাওনার অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ শ্রমিকের করা এ মামলায় তার বিরুদ্ধে সমনও জারি করেছেন আদালত। এছাড়া ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগের তদন্ত চলছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন