হোম বিনোদন বিবিসির জরিপে সেরা ছিলেন গীতিকবি গাজী

বিবিসির জরিপে সেরা ছিলেন গীতিকবি গাজী

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 58 ভিউজ

বিনোদন ডেস্ক:

বাংলা গানের সর্বকালের সেরা গীতিকবি কিংবদন্তি গাজী মাজহারুল আনোয়ার। আজ তার ৮১তম জন্মদিন।

১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গাজী। তিনি একাধারে ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, রচয়িতা, গীতিকার ও সুরকার।

মাত্র ২১ বছর বয়সেই গাজী মাজহারুল আনোয়ার গীতিকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে তার লেখা প্রথম গান প্রচার হয়। সেই থেকে শুরু।

তারপর কেটে গেছে অর্ধশতাধিক বছর। দীর্ঘ ক্যারিয়ার জীবনে বিশ হাজারেরও বেশি গান লিখেছেন। তার লেখা গান মুগ্ধ করেছে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে।

জনপ্রিয়, কালজয়ী গান দিয়ে বাংলা গানের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন গাজী। আধুনিক গানের পাশাপাশি বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য গান লিখেছেন গাজী। দীর্ঘ ক্যারিয়ার জীবন বিশ্লেষণ করলে তার অমর সৃষ্টির ধারেকাছে কেউ নেই।

১৯৬৭ সালে ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে গান লেখা শুরু করেন তিনি। এই সিনেমার জন্য তিনি লেখেন ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’ শিরোনামের একটি গান। দর্শকপ্রিয়তা পাওয়া এ গানের পরই সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা এবং তারপর নির্মাতা ও প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন গাজী।

গাজী মাজহারুল আনোয়ারে দাদা ছিলেন জমিদার। পরিবারের প্রভাব-প্রতিপত্তি থাকলেও তিনি ছোটবেলা থেকেই দেশ, প্রকৃতি ও মানুষের প্রতি দারুণ আগ্রহী ছিলেন। সেই আগ্রহ থেকে তার ভেতরে জন্ম নেয় সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনা, যা তাকে ধীরে ধীরে পরিণত করে একজন গীতিকারে।

তার উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো: জয় বাংলা বাংলার জয়, আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার, একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল, একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়, গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে, আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল, এই মন তোমাকে দিলাম, তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়, শুধু গান গেয়ে পরিচয়, ইশারায় শীষ দিয়ে, চোখের নজর এমনি কইরা, চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে, ও পাখি তোর যন্ত্রণা, জন্ম আমার ধন্য হলো, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ। এছাড়াও তিনি অসংখ্য জনপ্রিয় গান লিখেছেন।

বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০ বাংলা গানের মধ্যে তিনটি গানের রচয়িতাই গুণী এই গীতিকবি। গানগুলো হচ্ছে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’ ও ‘একবার যেতে দে না’।

ক্যারিয়ারে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার, বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড, পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একাধিকবার বাচসাস পুরস্কার, বিজেএমই অ্যাওয়ার্ড, লাইফ টাইম অ্যাওয়ার্ডসহ ১১০ টি সম্মাননা। ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎই ৭৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই গীতিকবি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন