খেলাধূলা ডেস্ক :
জানুয়ারিতে শুরু হওয়া বিপিএল এখন মাঝপথে। এই আসরের ৩৪ ম্যাচের মধ্যে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৭টি ম্যাচ। এই পর্যায়ে এসে ব্যাটিং পারফরম্যান্সে এগিয়ে বিদেশি ক্রিকেটাররা। অন্যদিকে বোলিংয়ে ঝলক দেখাচ্ছেন দেশি ক্রিকেটাররা।
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সেরা পাঁচ রানসংগ্রাহকের তালিকায় আছেন দুইজন বাংলাদেশি। তারা হলেন- তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিপরীতে এ তালিকায় বিদেশিরা হলেন- উইল জ্যাকস, আন্দ্রে ফ্লেচার ও বেনি হাওয়েল। মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার তামিম অবশ্য সমন্বিতভাবে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের তালিকায় সবার শীর্ষে। ৬ ম্যাচে তিনি করেছেন ২৬২ রান। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জোর্সের ইংলিশ ক্রিকেটার জ্যাকস এক ম্যাচ বেশি খেলে করেছেন ২২৩ রান। খুলনা টাইগার্সের আন্দ্রে ফ্লেচারও ছুঁয়েছেন দুশোর ঘর। ৬ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২০৬ রান। পরের দুটি স্থানে থাকা মাহমুদউল্লাহ ও হাওয়েলের রান যথাক্রমে ১৯৪ ও ১৬১।
সর্বোচ্চ রানের হিসাবে সেরা পাঁচে থাকা ক্রিকেটারদের মোট রান এক হাজার ৪৬। এর মধ্যে ঢাকার দুই ব্যাটার তামিম ও রিয়াদের মোট রান ৪৫৬। বিপরীতে তিন বিদেশির মোট রান ৫৯০। এ দিক দিয়েও দেশি ক্রিকেটারদের চেয়ে এগিয়ে বিদেশিরা। শতকের ইনিংসে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে তামিম খেলেছেন ১১১ রানের ইনিংস। একই ম্যাচে তামিমের আগে সিলেটের লেন্ডল সিমন্স করেন ১১৬ রান।
এবার নজর দেওয়া যাক বোলিং পারফরম্যান্সের দিকে। বোলিংয়ে সেরা পাঁচের মধ্যে বিদেশি আছেন কেবল একজন, ডোয়াইন ব্রাভো। খুলনার কামরুল ইসলাম রাব্বি ১১, সাকিব আল হাসান ১০, ডোয়াইন ব্রাভো ১০, নাসুম আহমেদ ৯ ও মেহেদী মিরাজ ৯ উইকেট শিকার করেছেন। এই পাঁচজনই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের মধ্যে শীর্ষে। দেশি ক্রিকেটাররা মোট নিয়েছেন ৩৯ উইকেট। এর বিপরীতে ব্রাভোর শিকার ১০ উইকেট।
এবারের বিপিএল একটি হ্যাটট্রিকেরও সাক্ষী হয়েছে। সেটিও এসেছে দেশি ক্রিকেটার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর হাত ধরে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এ পেসার সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে সেই হ্যাটট্রিক করেন। ২৯ জানুয়ারি সিলেটের মুখোমুখি দেখায় পরপর তিন বলে এনামুল হক, মোসাদ্দেক হোসেন ও রবি বোপারাকে আউট করেন তিনি।