অনলাইন ডেস্ক :
যশোর জেনারেল হাসপাতালে এক নারী ওসির স্বামী আহসানুল ইসলাম বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের করোনারী ইউনিটে তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আহসানুল ইসলাম পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকদিয়া গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে।
তার স্ত্রী রোকসানা খাতুন নড়াইলের নড়াগতি থানার ওসি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন এবং যশোর কোতয়ালি মডেল থানার স্টাফে বসবাস করেন। তিনি বেনাপোল রেলওয়েতে কর্মরত ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আহসানুল ইসলাম বুকে ব্যথা করছে বলে তার স্ত্রী রোকসানা খাতুনকে জানান। এসময় তার স্ত্রী যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল ক) গোলাম রব্বানীকে জানান। এসময় তিনি তার চিকিৎসার জন্য কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
ওসি থানার এসআই আ ফ ম মনিরুজ্জামানের মাধ্যমে আহসানুল ইসলামকে সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রেরণ করেন। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক এম আব্দুর রশিদ তাকে করোনারী ইউনিটে প্রেরণ করেন। সকাল ৮ টা ১০ মিনিটে করোনারী ইউনিটে ভর্তি করে ডাক্তার সোহানুর রহমান ৮টা ২০ মিনিটে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
ডাক্তার সোহানুর রহমান জানান, আহসানুল ইসলামকে বেড়ে আনার পর অস্থিরতার কারণে ইসিজি করা সম্ভব হয়নি। তারপর হাসপাতাল থেকে কিছু ওষুধ দেয়া হয়। তাছাড়া তার স্বজনরা বাইরে থেকে ওষুধ আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি রোকসানা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ সদস্য হিসেবে আমি জনগণকে সহায়তা করে আসছি। আজ আমার স্বামী বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন। তিনি হাসপাতালের ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ করেন।
করোনারী ইউনিটের ডাক্তার এসোসিয়েট প্রফেসর রফিকুজ্জামান জানান, আহসানুল ইসলামের অস্থিরতার কারণে ইসিজি করা সম্ভব হয়নি। তারপর ডাক্তার তাকে ওষুধ দিলেও তা আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। বিনা চিকিৎসায় মারা যায়নি।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলিপ কুমার বিনা চিকিৎসায় আহসানুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে বলে অস্বীকার করে বলেন, নিহতের স্বজনরা ওষুধ আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) গোলাম রব্বানী, কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামানসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালের ডাক্তারদের সাথে কথা বলেছেন।