মোহাম্মদ আরীফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিদ্যুৎ খাতে দূর্নিতীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের ইমন মাহমুদ, দেলোয়ার, মোঃ রনি, বাবুল, আব্দুস সালাম, খুর্শিদ মিয়া, কাঞ্চন মিয়া, সৈয়দ লাহা উদ্দিন, ফেরুজ মিয়া, জাহাঙ্গীরসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করে জানান, প্রায় দেড় মাস পূর্বে উপ-সহকারী প্রকৌশলী রমজান আলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আহাম্মেদকে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা দেয়া হয় বিদ্যুতের খুঁটি ও ট্রন্সফর্মার স্থাপন করার জন্য। কিন্তু বিদ্যুতের খুঁটি এলাকায় পৌছে ৩ টি খুঁটি স্থাপন করে আরো দেড় লক্ষ টাকা দাবি করছেন তারা। বাকি টাকা না দিলে খুঁটি স্থাপন করা হবে না এবং ট্রান্সফর্মারও দেওয়া হবে না বলে জানান তারা। অবশিষ্ট টাকা না দিতে পারায় অদ্যবদি বিদ্যুতের বাকি কাজ সম্পন্ন করছেন না বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, টাকা লেনদেনের বিষয়টি আমরা অবগত আছি। প্রয়োজনে স্বাক্ষী দিতেও আমরা প্রস্তুত আছি।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী প্রকৌশলী রমজান আলী সাংবাদিকদের বলেন, টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেইনি।
এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম আহাম্মেদ বলেন, আমি কি উপজেলা চেয়ারম্যানের এলাকা থেকে টাকা নিয়েছি? এ বিষয়টা ঠিক না।
প্রকৌশলী শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই। আমি বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে কথা বলব।
জানা যায়, শামীম আহাম্মেদ ২৫ অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখে টাঙ্গাইলের বিউবো-২ এর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরন বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব নেন। গত ২৫ অক্টোবর ২০২১ ইং তারিখে গ্রাহকের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে একটি মিটারে ৫৯২৯২.৯৩ ইউনিট বিদ্যুৎ সমন্বয় করে ১৪৩৬৯ ইউনিট অর্থাৎ ৫৯২২২৯ টাকা মূ্ল্যের বিদ্যুৎ বিল দেখিয়েছিলেন ১১৮২০৪ টাকা।