আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
নেপালে সহিংস দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে উত্তেজনা বাড়ায় পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা অলি। শত শত বিক্ষোভকারী তার দফতরে প্রবেশ করার পর, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নেপালের সচিবালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও নেপালের সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সোমবার থেকে নেপালে বিক্ষোভ চলছে। কারফিউ উপেক্ষা করে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো কাঠমান্ডুর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন তরুণেরা। এ সময় জেন–জি বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন জোটের শরিক নেপালি কংগ্রেস পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ মন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। কয়েকটি বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দিয়েছেন।
বিক্ষোভের মুখে সরকার মঙ্গলবার ফেসবুক–ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও প্ল্যাটফর্মের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও বিক্ষোভকারীরা কারফিউর মধ্যে রাস্তায় নেমে আসেন।
রাজনীতিবিদদের সন্তানদের আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাপনকে কেন্দ্র করে ‘নেপো কিড’ ক্যাম্পেইন থেকে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বিশেষ করে কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন জেলায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে চলে আন্দোলন।
এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটে। পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে সেখানেও্র বিক্ষোভকারীরা আগুন দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়। পরে বন্ধ করে দেয়া হয় বিমান চলাচলও।
এমন পরিস্থিতিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানান স্থানীয় নেতারা এবং দেশটির সেনাপ্রধান। অবশেষে চাপের মুখে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকালই পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক।