হোম আন্তর্জাতিক বিক্রমাসিংহের এক মন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে ও প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিক্রমাসিংহের এক মন্ত্রী পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আদাদেরানা জানিয়েছে, পরিবহনমন্ত্রী বানদুলা গুনাওয়ার্দেনা বলেছেন, মন্ত্রিসভা থেকে শিগগিরই পদত্যাগ করবেন তিনি। শনিবার (৯ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে গুনাওয়ার্দেনা বলেন, মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষমতাসীন শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা পার্টির (এসএলপিপি) সদস্যপদও ত্যাগ করবেন তিনি।

এদিকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেও বলেছেন, সবাই চাইলে তিনি পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক। এর মাধ্যমে একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের পথ করে দিতে চান তিনি। শনিবার (৯ জুলাই) বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছেন।

বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। প্রেসিডেন্ট ভবন দখলে নিয়েছে ক্রুদ্ধ জনতা। নজিরবিহীন এ বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। এদিকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে বলেছেন, সর্বদলীয় এ বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা মেনে নেবেন তিনি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে জানান, জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে বিরোধী দলগুলো সুপারিশ করলে তিনি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত আছেন।

শনিবার সকালে রাজধানী কলম্বোয় রীতিমতো গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে এবং অবস্থান নেয়। অনেককেই প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সুইমিংপুলে গোসল করতেও দেখা যায়।

জনগণের রোষের মুখে বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের মতো করেই বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। সটকে পড়েন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেও। এরপরও বিক্ষোভ-প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। তাদের একটাই দাবি, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়াকে পদত্যাগ করতে হবে।

অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতায় শুক্রবার (৮ জুলাই) ফের রাজপথে নামে লঙ্কান জনতা। এদিন বিক্ষোভ থেকে আরও বড় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয় আয়োজকরা।

কিন্তু আগেই শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে কলম্বো ও আশপাশের এলাকায় কারফিউ জারি করে সরকার। শ্রীলঙ্কার পুলিশপ্রধান চন্দনা বিক্রমারত্নে বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে। আর কারফিউ চলাকালে সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু সরকারের সব আদেশ-নিষেধ আর কারফিউ উপেক্ষা করেই রাজপথে নামে মানুষ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন