রাজনীতি ডেস্ক :
রাজধানীর আরামবাগে অনুমতি না পেলে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অনিরাপদ স্থান দাবি করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে সহায়তা করতে আবারও সরকার ও পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান দলটির দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।
এদিকে ডিএমপি বলছে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কোনো স্থান কিংবা সড়কে কোনো কর্মসূচি পালনে করতে দেয়া হবে না। আরামবাগের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, চাহিদা মতো বিকল্প ভেন্যু না হলে নয়াপল্টনেই অবস্থান নেবে বিএনপি।
বিএনপির সমাবেশের দিন ১০ ডিসেম্বর শনিবার ছুটির দিন এ কথা উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, সেইদিন সেখানে আমরা প্রোগ্রাম করতে পারি। সুতরাং আমরা তাদের (ডিএমপি) কাছে সেই সহযোগিতা কামনা করেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী তারা সেই সহযোগিতা করবেন। না হলে নয়াপল্টন এরিয়ার মধ্যেই আমাদের থাকতে হবে।
আরামবাগ বা নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার কোনো কারণ নেই এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমরা আগেও বলেছি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অনিরাপদ। সেখানে প্রোগ্রাম করব না। দায়িত্ব নিয়ে বলেছি, নয়াপল্টনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব বা করতে চাই।
এ্যানী আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য অনুমতি চাইনি এবং সাফ জানিয়ে দিয়েছি সেটা নিরাপদ নয় অনিরাপদ। যে কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বেছে নেইনি।
ডিএমপির সঙ্গে বিএনপির অব্যাহত যোগাযোগ আছে উল্লেখ করে এ্যানী বলেন, আমরা আশাবাদী তারা বিএনপি অফিসের সামনেই আমাদের প্রোগ্রাম করতে দেবেন। যদি না দেন তাহলে বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে আরামবাগ আইডিয়াল স্কুলের সামনে আরামবাগ সেটি জন্য সহযোগিতা করবেন। যদি তা না হয় তাহলে দায় দায়িত্ব তাদের নিতে হবে এবং উনাদের (ডিএমপি) উপর বর্তাবে।
ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ। বাদ যায়নি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের স্লোগানেও। সকাল থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের সামনে সরকার বিরোধী নানা স্লোগানে দিয়ে অবস্থান নেন। দাবি তাদের, ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ হোক নয়াপল্টনেই। এর বাইরে যেতে নারাজ তারা। অন্যদিকে বিশৃঙ্খলা এড়াতে নয়াপল্টন ঘিরে মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সদস্যদের।
এ পর্যন্ত বিএনপি ৯টি সাংগঠনিক বিভাগীয় গণসমাবেশ করেছে ঢাকার বাইরে। আগামী ১০ডিসেম্বর সবশেষ ঢাকায় গণসমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে তাদের। যেখান থেকে নতুন সিদ্ধান্ত আসবে বলেও জানিয়েছে বিএনপি।