নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের সানতলা গ্রামের অসহায় হালিমা খাতুনকে তার পিতার বাড়ী থেকে জোর করে তাড়িয়ে দেয়ার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তার আপন ভাই ও ভাবী।ইতিমধ্যে ভুক্তভোগী হালিমা খাতুনের বসত ঘরের টিনের বেড়া ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই ঘটনায় হালিমা খাতুন তার ভাই হাবিবুর রহমান ও ভাবীর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পাটকেলঘাটার থানার সানতলা গ্রামের শহর আলী বিশ্বাসের মেয়ে হালিমা খাতুনের সাথে ১৬ বছর আগে বিয়ে হয় যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার আটঘরা গ্রামের শাহাজাহান মহালদারের সাথে।
দুই বছর পর স্বামীর অভাবের কারনে তারা পিতার বাড়ী সানতলা গ্রামে চলে আসে। পিতার কাছ থেকে তিন শতক জমি নিয়ে ছোট্ট একটি টিনশেড ঘর তৈরী করে সেখানে দুই মেয়ে ও স্বামী স্ত্রী মিলে বসবাস করে আসছে হালিমা খাতুন।
তার বড় মেয়ে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেণীর ছাত্রী। কোন ভাবেই স্বামীর উপার্জন দিয়ে চলে ৪ সদস্যের সংসার। প্রায় ১৪ বছর বাবার বাড়ীতে বসবাস হালিমার।
কিন্ত এরই মধ্যে হালিমাকে তার বাবার বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করতে ষড়যন্ত্র শুরু করে তার ভাই হাবিবুর রহমান ও ভাবী আছুরা বেগম। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তারা হালিমাকে হুমকি ধামকি দেয় বাড়ী থেকে চলে যেতে।
এরই মধ্যে ধানদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৭ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন মো: আব্দুর রহমান। এই নির্বাচনে হালিমা ও তার স্বামী আব্দুর রহমানের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করলেও হালিমার ভাই হাবিবুর রহমান পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন।
গত ২১ মার্চ সন্ধায় হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী আছুরা বেগম হালিমা বেগমের ঘরে মেম্বর আসছে এমন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে চিল্লা পাল্লা শুরু করে। একপর্যায় তারা হালিমার ঘরের বেড়া ভেঙ্গে ফেলে কিন্ত ঘরের মধ্যে ঘটনার সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার সময় ওই ঘরের বারান্দায় হালিমার মেয়ে ও বাবা বসে ছিলেন।
হালিমা খাতুন আরো জানান, ভাই ভাবী এধরনের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে তার বাবার জমি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য এমনটাই করেছে।এঘটনায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা ওই বাড়ীতে এক শালিসী বৈঠক বসে। কিন্তু বৈঠকে থাকা স্থানীয় মাতব্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুর রহমান জানান,বিষয়টি সঠিক নয়। হালিমার ঘরে ঘটনার সময় কেউ ছিল না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আব্দুর রহমান জানান, তার নির্বাচনে যারা প্রতিপক্ষ ছিল তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আদেও ওই বাড়ীতে যান নি। মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এধরনের অপ্রচার করছে হাবিবুর ও তার স্ত্রী।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত হাবিবুরের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি পারিবারিক বলে এড়িয়ে যান ।