হোম খুলনাসাতক্ষীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতার্তদের মুখে হাসি ফোটালেন ইউএনও আসাদুজ্জামান

দেবহাটা প্রতিনিধি:

ক্রমশ রাত গভীর হচ্ছে, কুয়াশার চাদরে ঢাকা চারদিকে প্রচন্ড শীত; তাতেই জবুথবু জনজীবন। উচ্চ ও মধ্যবিত্তরা কিছুটা উষ্ণতায় রাত কাটাতে পারলেও, শীতের তীব্রতায় অনেকটা কাপুনিতেই রাত্রি যাপন করছিলেন দেবহাটা উপজেলা বিভিন্ন প্রত্যন্ত জনপদে বসবাসরত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীরা। এরই মাঝে শীতবস্ত্র হাতে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামানকে দুয়ারে দাঁড়ানো দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এসব অসহায় মানুষ গুলো। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে উষ্ণতায় মোড়ানো এমনই আবেগঘন পরিবেশের দেখা মেলে দেবহাটাতে।

আকর্ষিক শীতবস্ত্র হাতে নিয়ে অসহায় মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে বেরিয়ে পড়েছিলেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত গাড়ি ভর্তি কম্বল নিয়ে উপজেলার একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। মোড়ে মোড়ে গাড়ি থেকে নেমে কম্বল হাতে পায়ে হেটেই ঢুকে পড়েন আশপাশের অসহায় মানুষদের বাড়িতে। রীতিমতো ঘর থেকে ডেকে তাদের হাতে তুলে দেন শীতবস্ত্র।

খোদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এমন সহমর্মিতা ও সহানুভূতিপূর্ন আচরণে এসময় আবেগাপ্লুত শীতার্ত পরিবার গুলো মো. আসাদুজ্জামানের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা পোষন করেন।

শীতবস্ত্র বিতরণকালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. শফিউল বশার সহ উপজেলা প্রশাসনের স্টাফবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, শীতার্তদের মুখে হাসি ফোটানের সামান্য প্রয়াস থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। অনেক সময় শীতবস্ত্র নিতে গিয়ে হতদরিদ্ররা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হন। আবার অনেকে লোক লজ্জার ভয়ে শীতবস্ত্র না নিয়ে কষ্টে রাত্রিযাপন করেন। নির্বিঘেœ সরকারের এ উপহারটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্যই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সকল ইউনিয়ন পরিষদ থেকেও শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন