কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
আষঢ়ের শুরুতে ফের দ্বিতীয়বারের মত পানি বাড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশে। রোজই কোন না কোন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে পানিতে। বন্যা পরিস্থিতির কারণে মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ বেড়ে গিয়েছে।
বিভিন্ন জেলার মত কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চল সহ ভৈরব, কুলিয়ারচর ও বাজিতপুরে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে নিয়মিত। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতীতে নৌ- কারিগরদের নৌকা তৈরির পরিমান বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে মহাজনদের বিক্রিও যাচ্ছে ভালো। সারা বছর ঢাল সময় গেলেও বর্ষাকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস ছয়সূতীতে নৌকা বিক্রির ধুম পরে যায়।
নদী, নালা, খাল- বিলসহ জমিতে পানি বাড়ার কারণে এখানে নতুন নতুন নৌকার বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন। ছয়সূতীতে ৮/১০ জন মহাজন নৌকা তৈরি করে থাকেন। ২০/২৫ জন কারিগর দ্বারা এখানে নিয়মিত নৌকা তৈরি হচ্ছে। বিক্রি ভালো হওয়ায় সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত নৌকা তৈরিতে বিরাম নেই।
একটি কোষা (ছোট নৌকা) ৮/১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারী আকারের নৌকা বিক্রি হচ্ছে ২৮/৩০ হাজার টাকা দরে। যা গত বছর তুলনামূলক ভাবে অনেক কম ছিলো। দ্রব্যমৃল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে কাঠের দাম বেড়ে গেছে বলে জানালেন কয়েকজন মহাজন। তারা বলেন; গত বছর কাঠের দাম কম ছিলো, তাই কম দামে নৌকা বিক্রি করতে পেরেছি। এ বছর কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ায় নৌকার দামও বেড়ে গেছে।
মনির হোসেন নামের এক মহাজন বলেন, ছয়সূতী নৌকা বিক্রির জন্য দিন দিন বিখ্যাত হয়ে যাচ্ছে। একটু কম মূল্য ও ভালো নৌকা কিনার আশায় বিভিন্ন জেলা সহ কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষ নৌকা কিনতে চলে আসে এখানে।
সুজন মিয়া নামের এক নৌ কারিগর বলেন, এ বছর নৌকা তৈরির চাপ খুব বেড়ে গেছে। অনেক বছর পর পানি আসার কারণে নৌকার কেনা- বেচাও ভালো। এ জন্য আমাদের কাজের চাপও বেশি।
মহাদের নামের এক ক্রেতা বলেন, চাতলপাড় থেকে নৌকা কিনতে ছয়সূতী চলে এসেছি। এখানে ভালো ভালো নৌকা তৈরি করা হয়। দামও একটু কম। একটি কোষা (ছোট নৌকা) ৭ হাজার ৮ শত টাকা দিয়ে কিনলাম। আমাদের এলাকা থেকে অনেক মানুষ এখানে নৌকা কিনতে চলে আসে।