লাইফস্টাইল ডেস্ক:
হাইপারপিগমেন্টেশন যেমন মেলানিনের বৃদ্ধি, অ্যাকন্থোসিস নিগ্রিকানস বা ত্বকের পিগমেন্টেশন ব্যাধি যা ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং অস্বাভাবিক হরমোনের মাত্রার কারণে কালচে হয়ে যেতে পারে বাহুমূল। এছাড়া ডিওডোরেন্টে থাকা রাসায়নিকের প্রভাব, শেভিংয়ের ঘর্ষণ, মৃত ত্বকের কোষ জমে যাওয়া, আঁটসাঁট পোশাকের কারণে ঘর্ষণও দায়ী হতে পারে বাহুমূলের কালচে ছোপের জন্য। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি মেনে এই দাগ দূর করার চেষ্টা করতে পারেন।
বাহুমূলের কালো দাগ দূর করার এবং হাইপারপিগমেন্টেশনের প্রভাব কমানোর জন্য বেকিং দারুণ সোডা কার্যকরী। প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েট হিসেবেও কাজ করে এটি। মৃত ত্বকের কোষ অপসারণ করে ও ত্বকের ক্ষতি না করে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে উপাদানটি। বেকিং সোডার সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। পেস্টটি বগলের কালচে অংশে ঘষুন কিছুক্ষণ। পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহারে সুফল মিলবে দ্রুত। এতে ঘামের দুর্গন্ধও দূর হবে। গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন উপাদানটি।
প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান রয়েছে আলুতে। কয়েক ফালি আলু বেটে ২ চা চামচের মতো ভিনেগার মিশিয়ে বাহুমূলে মিনিট দশেক লাগিয়ে রাখুন। নিয়মিত সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এই মিশ্রণ লাগান। কালচে দাগ দূর হয়ে যাবে।
এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দিন। সেটি বাহুমূলে মেখে ১০ মিনিট রেখে দিন। তার০পর ধুয়ে ফেলুন।
এক কাপ পানির সঙ্গে ৫ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল নিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন। গোসলের পর বাহুমূলে স্প্রে করে নিন।
লেবু স্লাইস করে বাহুমূলে ঘষুন দশ মিনিট। এরপর ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
কমলার খোসার গুঁড়ার সঙ্গে এক টেবিল চামচ দুধ এবং এক টেবিল চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট বাহুমূলে ঘষুন কয়েক মিনিট এরপর ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার লাগান এই পেস্ট।
কয়েক ফোঁটা নারি]কেল তেল ম্যাসাজ করুন বাহুমূলে। ১৫ মিনিট পর মাইল্ড সাবান ও কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।