জাতীয় ডেস্ক:
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২৩ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সোমবার (১৯ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন মিলেছে।
বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনায় ২০১০ সালের একটি আইন আছে। ২০১১ সালে এ সংক্রান্ত একটি বিধিমালাও করা হয়।
‘এখন আগের আইনের কিছু সংশোধন করা হচ্ছে। যেসব এলাকা থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ ছিল, সেখানে ফসলি জমি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এখন ফসলি জমি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোনো ফসলি জমি থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না।’
সচিব বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) অভ্যন্তরীণ নদী পথের নাব্য বিনষ্ট করতে পারে, এমন হুমকি থাকলে সেখানকার বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না।
‘আগে শুধু বিআইডব্লিউটিএর জরিপকেই ভিত্তি ধরা হতো। এখন আইন সংশোধন করে বলা হচ্ছে, বিআইডব্লিউটিএর জরিপ ছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যদি কোনো জরিপ থাকে সেটিকেও বিবেচনায় নেয়া হবে।’
মাহবুব হোসেন বলেন, তিন ফসলি জমি ও টপ সয়েল (মাটির উপরের উর্বর অংশ) নষ্ট হতে পারে এমন শঙ্কা থাকলে বালু তোলা যাবে না। আগে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে যাওয়ার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা যন্ত্রপাতি জব্দ করতে পারতেন না। এখন নতুন আইনে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে ইজারা কার্যক্রম অনলাইনে হবে। কোনো কারণে ইজারা দেয়া না গেলে খাস আদায়ের মাধ্যমেও করা যাবে। বালু পরিবহনের কারণে রাস্তার বা স্থাপনার ক্ষতি হলে সেটি ইজারাদারকে পরিশোধ করতে হবে। বালু উত্তোলন নিয়ে আগের আইনে যেসব শাস্তির বিধান ছিল সেগুলো পরিবর্তন করা হয়নি।