স্বাস্থ্য ডেস্ক :
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে ঢাকায় চিকিৎসারতদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে এখনো কেউ শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক।
এদিকে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত আরও ৬ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে আনা হয়েছে ঢাকায়।
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে প্রিয়জন। সংক্রমণের ভয়ে পাশেও বসে থাকার সুযোগ নেই স্বজনদের। হাসপাতালের বারান্দায় বসে অসহনীয় সময় পার করছেন তারা। সবারই প্রার্থনা, দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুক প্রিয় মানুষটি।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে এ মুহূর্তে ভর্তি আছেন ১৭ জন। ধীরে ধীরে সবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও এখনো কাউকে শঙ্কামুক্ত বলতে রাজি নন চিকিৎসকরা।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সবসময়ই বলা হয় বার্ন রোগী কখনোই পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছু বলা যায় না। যতক্ষণ পর্যন্ত সে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না পাচ্ছে। যে ৩ জন আইসিইউতে ছিল তার মধ্যে একজনকে কাল লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছিল, সেটা আজ খুলে দেয়া হয়েছে। সে মোটামুটি ভালো আছে তবে একদম সুস্থ হয়ে যায়নি এবং বাকিরাও।
হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের প্রভাবে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আরও ৬ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে আজ নিয়ে আসা হয়েছে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে।
চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি রোগীরাও সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানান চিকিৎসকরা।
এদিকে গত শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টায় এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে ৭২ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। দগ্ধ হয়েছেন চার শতাধিক। এ ঘটনায় আজ বুধবার আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে।