স্পোর্টস ডেস্ক:
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কাঁদতে কাঁদতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তামিম ইকবাল। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রামের ‘টাওয়ার ইন’ হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দল থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন তামিম। দীর্ঘ ১৬ বছরের বর্ণিল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি ঘটালেন দেশের সর্বকালের সেরা এই ওপেনার। অবসর ঘোষণার মুহূর্তে আবেগতাড়িত তামিম জানান ক্রিকেটে আসার পেছনের কারণ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বুধবার অপ্রত্যাশিত হারের পর রাতে আচমকা সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এরপর থেকেই গুঞ্জন, অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন তামিম। তবে এরই মধ্যে আরেক গুঞ্জন জোরালো না হলেও ডালপালা মেলতে থাকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিতে পারেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। দুটি শঙ্কাই সত্যি হয়েছে, অধিনায়কত্ব ছাড়লেন তো বটেই , জাতীয় দলকেও ছাড়লেন তামিম!
এদিন ১৮ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তামিম। কাঁদতে কাঁদতে দেন অবসরের ঘোষণা। সম্মেলন কক্ষ তখন নানা কথায় গমগম করছে। তার মাঝেই তামিম কখনো একদম নীরব, কান্না থামাতে ব্যর্থ হয়ে মুখ নিচু করে রুমালে চোখ মুছছেন। তারপর ফের কথা বলছেন।
সেখানেই জানালেন বাবা প্রয়াত ইকবাল খানের স্বপ্ন পূরণ করতেই তার ক্রিকেটে আসা। জাতীয় দলে ১৬ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারে বাবার স্বপ্ন পূরণেরই চেষ্টা করেছেন।
তামিম বলেন, ‘আমি সবসময় একটা কথা বলেছি যে, আমি ক্রিকেট খেলি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। আমি নিশ্চিত নই, এই ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তাকে গর্বিত করতে পেরেছি কি না।’
এ সময় তামিম আরও জানান, প্রয়াত চাচা আকবর খানের হাত ধরেই ক্রিকেটে হাতেখড়ি তার। সেই সঙ্গে বেড়ে ওঠার সময়ে যে কোচের সান্নিধ্য পেয়েছেন তাকেও ধন্যবাদ জানান তামিম।
তামিম বলেন, ‘আমার সবচেয়ে ছোট চাচা, যিনি ইন্তেকাল করেছেন – আকবর খান; ওনার হাত ধরেই আমার প্রথম ক্রিকেট বলের টুর্নামেন্ট খেলা। তাকে ও তার পরিবারকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। এম এ আজিজে তপন দা নামের একজন কোচ আছেন, যার কাছে আমি ছোটবেলা থেকে প্রাকটিস করেছি। তাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’