হোম জাতীয় বাতিল হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’, আতঙ্কে পদকপ্রাপ্তরা

বাতিল হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’, আতঙ্কে পদকপ্রাপ্তরা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 17 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
সরকারের প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রবর্তিত শীর্ষ পদক ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ বাতিল করা হচ্ছে। তবে এ যাবত প্রশাসনের যারা এই পদক পেয়েছেন, তারাই এখন ভুগছেন আতঙ্কে। আওয়ামী লীগের আমলে পদকপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে হাসিনা সরকারের কাছ থেকে ‘বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত’ হিসেবে। বলা হচ্ছে, এই পদকপ্রাপ্তরা মূলত দলবাজ ও দলীয় মদতপুষ্ট। তারা দলীয় বিবেচনাতেই এই পদক পেয়েছেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়। তাই বর্তমানে তাদের রাখা হয়েছে সন্দেহের তালিকায়। পদক বাতিলের পর পদকপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও নেওয়া হতে পারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এরা এখন এই আতঙ্কে দিন পার করছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’, ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার’, ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’, ‘শেখ রাসেল পদক’, ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন’ ও ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার’ বাতিল করা হয়েছে। এর আগে, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে নামকরণ করা বিভিন্ন সরকারি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এখনও বাতিল করা হয়নি ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’। বাতিলের ধারাবাহিকতায় ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ যে কোনও সময় বাতিল করা হতে পারে। এ প্রক্রিয়া শুরু করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে কবে নাগাদ সেটি বাতিল হচ্ছে, আর কবে নাগাদ সেই আদেশের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে; তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কেউই।

জনপ্রশাসনের সব কর্মবিভাগে নিযুক্ত কর্মচারীদের সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী প্রয়াস, সেবা সহজীকরণ ও গঠনমূলক কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন ও সেবাপরায়ণ মনোভাব তৈরি ও সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতি ত্বরান্বিতকরণে জনপ্রশাসনকে গণমুখী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ব্যক্তি, দল ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে অনন্য কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শেখ হাসিনার সরকার।

এই পুরস্কারের উদ্দেশ্য ছিল, জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে জনমুখী প্রশাসন গড়ে তোলা, সেবাপ্রত্যাশীদের চাহিদা পূরণে কর্মচারীদের সৃজনশীলতা ও অভিযোজন সক্ষমতা মূল্যায়ন করা এবং জনসেবা প্রদান পদ্ধতিতে সংস্কার ও ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে আস্থাশীল জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।

কাদের জন্য এই পদক প্রযোজ্য হবে— এমন পরিধি ঠিক করতে গিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে, বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এবং এর অধীন সরকারি দফতর বা সংস্থা, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কর্মচারীরা ব্যক্তিগত, দলগত বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কর্মরত কর্মচারী বা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত কার্যপরিধির উপর বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক বিবেচনা করা হবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, জনপ্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ব্যক্তি, দল বা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে মোট ১২টি পদক প্রদান করা হবে। পুরস্কার হিসেবে একটি স্বর্ণপদক (২১ ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম ওজনের) এবং রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম সংবলিত সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত অবদানের জন্য ২ লাখ ও দলগত অবদানের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। দলগত অবদানের ক্ষেত্রে দলের সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা হবে পাঁচ জন। দলের প্রত্যেক সদস্যকে স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট দেওয়া চালু করা হয়। কোনও সরকারি কর্মচারী তার কোনও অবদানের জন্য অন্য কোনও জাতীয় পদকের জন্য একবার পুরস্কার অর্জন করলে, তিনি তার ওই একই কাজের জন্য আর পদকের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

অভিযোগ রয়েছে, এই পদক চালু করার পর আওয়ামী লীগ সরকার মনে করেছিল, এতে করে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারেন এবং অনেক সময় সরকারের বিরুদ্ধেও চলে যেতে পারেন। সেই আতঙ্ক থেকেই ২০২২ সালে ‘জনপ্রশাসন পদক’ এর নাম বদলে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ ব্যবস্থা চালু করা হয়। এজন্য ‘জনপ্রশাসন পদক’ নীতিমালা ২০১৫ (২০১৬ সালে সংশোধিত) বাতিল করে ২০২২ সালে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক নীতিমালা, ২০২২’ করে শেখ হাসিনা সরকার। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দলবাজি করার জন্য নাম পরিবর্তন করে দলীয় কর্মীদের মতো প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাঝে পদক বিতরণ করা হয়েছে। এটি করে অনেক যোগ্য ও মেধাবী দক্ষতা উন্নয়ন সেবাপরায়ণ কর্মকর্তাদের পদক থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেউই প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২০২৩ সালে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পাওয়া এক কর্মকর্তা বলেন, ‘চাকরি কতদিন টিকবে আল্লাহই ভালো জানেন। বর্তমানে প্রশাসনে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে। এতে পদক তো দূরের কথা আগে চাকরি নিয়েই টানাটানি শুরু হয়েছে। এ পদক এখন আমার চাকরি জীবনের একটি কলঙ্কের দাগ বলে মনে হয়।’

২০১৬ সালের ২৩ জুলাই প্রথমবারের মতো ‘জনপ্রশাসন পদক’ দেওয়া হয়। জনপ্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সেবছর ৩৫ কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানকে জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হয়। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। তার পক্ষ থেকে পদক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে ২০২০ সালে জনপ্রশাসন পদক দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে ২০২০ ও ২০২১ সালের পদক একসঙ্গে ২০২২ সালে দেওয়া হয়। গত ২০২০ সালের জন্য জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৫টি এবং ২০২১ সালের জন্য ২০টি পদক দেওয়া হয়।

আইসিটি পুরস্কারের পর জনসেবা কাজে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সাবেক চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডলকে জনপ্রশাসন পদক-২০১৭ দিয়েছে সরকার। জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ (দলগত) ক্যাটাগরিতে জনপ্রশাসন পদকটি দেওয়া হয়। গত ২০১৫ সালে যোগদান করার পর চাঁদপুরকে ব্র্যান্ডিংয়ের আওতায় এনে সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রকে জাগিয়ে তুলেছিলেন তিনি। এ কারণে তিনি পুরস্কার পেয়েছেন। বর্তমানে চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে সবুর মন্ডলকে।

গত ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ পান প্রশাসনের ২৭ জন কর্মকর্তা ও ৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠান। সে বছর ১০টি শ্রেণিতে এ পদক দেওয়া হয়। ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ শ্রেণিতে পদক পেয়েছেন নেত্রকোনার সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব) কাজী মো. আবদুর রহমান, জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক উপপরিচালক হাবিবুর রহমান, জেলার খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম, সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদ হাসান খান এবং মদনের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।

‘মানব উন্নয়ন’ শ্রেণিতে পদক পেয়েছেন, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, জেলার মোল্লাহাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদ হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দ্য মণ্ডল এবং মোল্লাহাট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল হোসেন। ‘অপরাধ প্রতিরোধ’ শ্রেণিতে পদক পেয়েছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন, জেলার সাবেক স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক আজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঝোটন চন্দ ও সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ-আবু-জাহের।

‘জনসেবায় উদ্ভাবন’ শ্রেণিতে পদক পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ঢাকার জেলা সাবেক ডিসি শহীদুল ইসলাম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের সুরক্ষা ইউনিট।

‘গবেষণা’ শ্রেণিতে পদক পেয়েছেন বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সাবেক সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এবং ময়মনসিংহের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পারভেজুর রহমান। এ ছাড়া ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ শ্রেণিতে পদক পেয়েছেন কুমিল্লার সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফী, সহকারী কমিশনার ফাহিমা বিনতে আখতার ও নাসরিন সুলতানা ও দুর্যোগ ও সংকট মোকাবিলা শ্রেণিতে পদক পেয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক (সাবেক নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক) মঞ্জুরুল হাফিজ, সাবেক পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকিব, সিভিল সার্জন মো. জাহিদ নজরুল চৌধুরী এবং সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জাকিউল ইসলাম। ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ‘নীতি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা সংস্কার’ বিভাগে এবং ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালকে ‘মানব কল্যাণে গবেষণা এবং এর ব্যবহার’ বিভাগে পুরস্কার দেয়া হয়। ‘সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন লক্ষ্মীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ, সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ কবির, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) নূর-ই-আলম, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন ও রায়পুর উপজেলার ইউএনও অঞ্জন দাস (বর্তমানে এডিসি নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে)।

উন্নয়ন প্রশাসন ক্যাটাগরিতে পদক পেয়েছেন খাগড়াছড়ির সাবেক জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, সাবেক এডিসি কে এম ইয়াসির আরাফাত, সাবেক সহকারী কমিশনার বাসুদেব কুমার মালো এবং সাবেক সহকারী কমিশনার শেখ নওশাদ হাসান।

২০২১ সালে ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ ক্যাটাগরিতে চার কর্মকর্তা-শরীয়তপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক বর্তমান জনপ্রশাসনের যুগ্মসচিব পারভেজ হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক উপ-পরিচালক মাতলুবর রহমান, জাজিরা উপজেলার ইউএনও কামরুল হাসান সোহেল এবং কৃষি কর্মকর্তা জামাল হোসেনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

পরিবেশ উন্নয়ন বিভাগে পাঁচ জন কর্মকর্তা পুরস্কার পেয়েছেন। তারা হলেন, হবিগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, এডিসি (সাধারণ) মিন্টু চৌধুরী, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার, সহকারী কমিশনার নাভিদ সারোয়ার ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার দত্ত।

‘মানবসম্পদ উন্নয়ন’ বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে পাঁচ জন কর্মকর্তাকে। তারা হলেন, গাইবান্ধা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উপ-পরিচালক আবদুস সবুর, সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তাহাজুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক ও পলাশবাড়ী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান। ‘দুর্যোগ ও সংকট ব্যবস্থাপনা’ ক্যাটাগরিতে গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামানকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

‘পাবলিক সার্ভিসে উদ্ভাবন’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১১ এর সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের কমান্ডার মির্জা সালাহউদ্দিন এবং ‘অপরাধ প্রতিরোধ’ ক্যাটাগরিতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার ইউএনও সোহাগ চন্দ্র সাহা। ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ ক্যাটাগরিতে বঙ্গবন্ধু জন প্রশাসন পুরস্কার পেয়েছিলেন নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হককে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস-উর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে সম্মত হননি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন