অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকার বাতাসের মান কিছুটা উন্নত হয়েছে। যদিও দূষিত শহরের তালিকায় এখন তার অবস্থান নবম। এর আগে বছরের শুরুর মাস জানুয়ারি জুড়ে এর অবস্থান ওঠানামা করছিল শীর্ষ তিনের আশপাশে ।
আজ শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৭৭ নিয়ে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ছিল ঢাকা।
আজ পাকিস্তানের করাচি ও লাহোর এবং ইরাকের বাগদাদ যথাক্রমে একিউআই স্কোর ২৬৭, ২৩৯ ও ২২৯ নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর খুবই অস্বাস্থ্যকর বলা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের যে পাঁচটি বৈশিষ্টের ওপর ভিত্তি করে সেগুলো হলো–বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে বিষয়ে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়।