বাণিজ্য ডেস্ক:
রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য বহুমুখীকরণ এবং নতুন বাজার অনুসন্ধানে যৌথভাবে কাজ করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে এফবিসিসিআই।
এফবিসিসিআই কার্যালয়ে সোমবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের মধ্যে সৌজন্য স্বাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বাণিজ্য সম্প্রসারণে যৌথভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এফবিসিসিআই।
মাহবুবুল আলম বলেন, বিভিন্ন দূতাবাস এবং মিশনে দায়িত্বরত কমার্শিয়াল কাউন্সিলররা সেসব দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের প্রচার করলে দেশের রফতানি পণ্যের বাজার আরও সম্প্রসারিত হবে। পাশাপাশি যেসব দেশে বাংলাদেশর কোন পণ্যের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে সেটি অবহিত করা হলে ব্যবসায়ীরা উদ্যোগ নিতে পারবেন।
এ সময় আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘অন্যান্য আঞ্চলিক জোটগুলোর মত বাংলাদেশকেও আঞ্চলিক বাজারের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে বিমসটেকের মত আঞ্চলিক জোটের মাধ্যমে বিভিন্ন মেলা আয়োজন, বিজনেস ফোরাম এবং বিমসটেক জয়েন্ট চেম্বার গঠন করা যেতে পারে।’
বাংলাদেশের সেরা পণ্যগুলোকে প্রমোট করার লক্ষ্যে শিগগিরই ভারতের মুম্বাইয়ে ‘বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপো’ আয়োজন করার পরিকল্পনার কথাও জানান মাহবুবুল আলম।
আর নির্দিষ্ট বাজার নির্ভরতা বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দেশের রফতানি আয়ের সিংহভাগই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। পণ্যের বহুমুখীকরণে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। বিদেশে পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নতুন বাজার অনুসন্ধানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তৎপর জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘রফতানি বহুমুখীকরণ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেসরকারি খাত এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদার করতে হবে। বিভিন্ন মিশনে থাকা কমার্সিয়াল কাউন্সিলররা নতুন বাজার সম্প্রারণে কোন কোন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে, সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দিতে হবে।’
সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি খায়রুল হুদা চপল, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, শমী কায়সার, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি প্রমুখ।