হোম অন্যান্যসারাদেশ বাগেরহাট শিশু অংগন বিদ্যানিকেতনের ব্যতিক্রমি উদ্যোগ; ঘরে বসেই পরীক্ষা, শিক্ষকের ভুমিকায় মা

বাগেরহাট শিশু অংগন বিদ্যানিকেতনের ব্যতিক্রমি উদ্যোগ; ঘরে বসেই পরীক্ষা, শিক্ষকের ভুমিকায় মা

কর্তৃক
০ মন্তব্য 86 ভিউজ

খুলনা অফিস :
বাগেরহাট শিশু অংগন বিদ্যানিকেতন করোনা পরিস্থিতির কারনে ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা জীবনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যতিক্রমি উদ্যোগ গ্রহন করেছে। মাকে দিয়ে শিক্ষকের ভূমিকা পালন করাচ্ছেন। মায়েরা এখন শিক্ষকের ভূমিকায়। বাড়ীতে বসে ছাত্র ছাত্রীরা প্রথম সাময়ীক পরীক্ষা দিচ্ছে। মা শিক্ষক হিসাবে পরীক্ষায় পরিদর্শকের ভূমিকা পালন করছে। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা সামাজিক দুরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছাত্রছাত্রীদের বাসায় বাসায় পরীক্ষা পরিদর্শন করছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হাফিজা জামান শিল্পী জানান, করোনা পরিস্থিরির কারনে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীরা বই থেকে দূরে না থাকে তার জন্য আমরা মে মাস থেকে আমাদের ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষার সাজেসন পৌছে দিয়েছি। আমরা বাসায় বসে প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর পরীক্ষা সম্পন্ন করছি। এতে করে তারা বই থেকে দূরে থাকছে না বইয়ের সাথেই থাকছে। যদিও মায়েদের একটু কষ্ট হলেও তারা এ পরিস্তিতির কারনে তা মেনে নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে লেখাপড়ার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমাদের এই উদ্যোগে মায়েরাও যথাযথভাবে সাড়া দিয়েছেন। আমরা বন্ধের মধ্যে ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়ার খোজ খবর রাখছি।
তিনি আরও জানান, পরীক্ষা শুরু হলে আমরা সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছাত্র ছাত্রীদের বাড়ীতে গিয়ে দেখেছি ছাত্র ছাত্রীরা টেবিলে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে আর মা শিক্ষকের মত তাদের পাশে দাড়িয়ে রয়েছে। অথচ তার সন্তান লিখতে না পারলেও মা অণৈতিক কিছু করছেন না বা তাকে বলে দিচ্ছে না। এটাই আমাদের অর্জন। আমরা মাকে এই জায়গায় আনতে পেরেছি। সরকার যতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খুলবে ততদিন এভাবে ছাত্র ছাত্রীরা বাড়ীতে বসে লেখা পড়া করবে।
পুরাতন বাজার এলাকার অভিভাবক স্বপ্না রানী পাল বলেন, শিশু অংগন বিদ্যানিকেতন করোনা পরিস্থিতির কারনে ছাত্র ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে ব্যতিক্রমি উদ্যোগ গ্রহন করেছে এতে আমরা খুশি। তিনি বলেন আমার সন্তান পরীক্ষা দিচ্ছে আর আমি নিজেই শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছি এটাত আমার কাছে বড় পাওয়া।
মুনিগঞ্জ এলাকার অভিভাবক খাদিজা আক্তার আখি বলেন, আমার সন্তানের শিক্ষক আমিই। এটাই এবার প্রমান করেছি। শিক্ষকের মত পরীক্ষা নিয়েছি। শিশু অংগন বিদ্যানিকেতন আমাদেরকে এখানে নিয়েগেছে। এই করোনা পরিস্তিতির মধ্যে শিশু অংগন বিদ্যানিকেতন এর ব্যতিক্রমি উদ্যোগকে সাধুবাধ জানাই।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন