বাগেরহাট অফিসঃ
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে ভবন নির্মানের অভিযোগ উঠেছে জনৈক শেখ ফয়জুল করিম পিন্টুর বিরুদ্ধে। ফয়জুল করিমের ভাইয়ের মেয়ে ফাহমিনা করিমের আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা স্বত্তেও তিনি মোল্লাহাট বাজার সংলগ্ন ৩৭ শতক জমির উপর ভবন নির্মান করে যাচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ না করার জন্য বললেও ফয়জুল করিম তার ৩০ থেকে ৩৫ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করাচ্ছেন এমন অভিযোগ করেন ফাহমিনা করিম।
ফাহমিনা করিম বলেন, আমার বাবা শেখ রেজাউল করিম মৃত্যুবরণ করার পর থেকে আমার চাচা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি জোর দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে। নায্য পাওনা বুঝে পেতে ২০১৯ সালে বাগেরহাট আদালতে বাটোয়ারা মামলা করি(মামলা নং ৮৪/১৯)। এরপরে আমার চাচা শেখ ফয়জুল করিম পিন্টু বাজার সংলগ্ন ৩৭ শতক জমির উপর ভবন নির্মানের চেষ্টা করেন। আমরা মৌখিকভাবে নিষেধ করার পরেও চাচা ভবন নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আমরা হাইকোর্টে আবেদন করলে উচ্চ আদালত ভবন নির্মানে নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকা স্বত্তেও আমার চাচা অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়ে ভবন নির্মান করে যাচ্ছেন। আমরা উপজেলা প্রশাসন ও মোল্লাহাট থানা পুলিশকে জানানোর পরে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা এখন কি করব আদালত নিষেধাজ্ঞা দিলেও যদি কাজ করে তাহলে আমরা কোথায় যাব। আমার ন্যায্য পাওনা প্রাপ্তির জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বলবত রাখার অনুরোধ করছি এবং ন্যায় বিচার চাই।
ফাহমিনা করিম আরও বলেন, আমার চাচাতো ভাই ইমরুল করিম পুলিশের এসআই হওয়ার সুবাধে স্থানীয়দের এবং আমাদের বিভিন্ন হুমকী ধামকী দিয়েছে। যার ফলে আমাদের আদালতে নিষেধাজ্ঞা স্বত্তেও কেউ তাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলছেন না।
এবিষয়ে শেখ ফয়জুল করিম পিন্টুর সাথে একাধিক বার ফোন করা হলে তিনি রিভিস করেননি। মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ গোলাম কবির বলেন, এটাতো আমাদের কাজ নয়, আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। তিনি আমাদের সহযোগিতা চাইলে পুলিশ দেওয়া হবে।
মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাফফারা তাসনীন বলেন, উপজেলা সদরে পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের বিষয়টি আমাদের অবহিত করার পর আমরা উভয় পক্ষকে ডেকে কথা বলেছি। আদালতের নির্দেশনার বিষয়ে আমরা তাদেরকে অবহিত করেছি।