হোম অন্যান্যসারাদেশ বাকিতে সিগারেট না দেয়ায় কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক:

রাজধানীর দক্ষিণখানে রাফসানদের চায়ের দোকানে বাকি ছিল স্থানীয় কিশোর তৌফিকের। দোকানে তৌফিকের প্রায় এক হাজার ২০০ টাকা বকেয়া হয়ে গেলে তাকে আর বাকীতে কিছু দিতে চায়নি রাফসান। এর জেরে রাফসানকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তৌফিকের বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) দক্ষিণখানের গাওয়াইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাফসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, তৌফিক নিহত রাফসানদের চায়ের দোকানে বিভিন্ন সময় বাকিতে পণ্য নিত। বেশ কিছু টাকা জমা হবার পরও বুধবার বিকেলে বাকিতে সিগারেট কিনতে আসেন তৌফিক। রাফসান পণ্য দিতে রাজি না হওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে রাফসানের বুকে আঘাত করে তৌফিক। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল, পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রাফসান।

পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তৌফিক। সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সিদ্দিকুর রহমান জানান, যে ছুরি দিয়ে রাফসানকে আঘাত করা হয়েছে সেটি তার দোকানেই ছিলো। কৌটা কিংবা চায়ে আদা ব্যবহারের জন্য যে ছুরি দিয়ে আদা কাটা হয় সেটি দিয়েই রাফসানকে আঘাত করেছে তৌফিক। আগে থেকেই দুই কিশোরদের মধ্যে শত্রুতা ছিল বলেও জানান তিনি।

এদিকে, সন্তানকে হারিয়ে মর্গের সামনে ব্যাকুল মা কুলসুম বেগম। তাকে সামাল দিচ্ছে একমাত্র ছোট ভাই হারানো আল আমীন। ছোট ভাই হত্যার ঘটনার অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি জানায় সে।

আলামিন বলেন, ছুরিকাঘাতের পর আমার ভাইকে উদ্ধার করে এখানে নিয়ে আসলে তারা (ডাক্তার) প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও তার শরীরে কোনো শক্তি ছিল না। এর কিছুক্ষণ পর আমার ভাই মারা যায়। আমার ভাই যেহেতু মারা গেছে, এখন আমি চাই খুনির ফাঁসি হোক।

ওসি মো.সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ অভিযানে নেমে অভিযুক্ত তৌফিককে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন