আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সিন্ডিকেট করে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া রুটে বিমানের ভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে এয়ারলাইন্সগুলোর বিরুদ্ধে। চড়া দামে টিকিট কিনতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা প্রবাসী বাংলাদেশিদের। এ অবস্থায় সংকট সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন প্রবাসীরা।
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া রুটে বিমানের ভাড়া নিয়ে চলছে অরাজকতা। কোনো কারণ ছাড়া বিমান সংস্থাগুলো দিনের পর দিন এই রুটে ভাড়া হাকাচ্ছে দ্বিগুণের বেশি। কোথাও তিন গুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের। যেখানে আগে এক হাজার থেকে ১২শ’ রিঙ্গিতে মালয়েশিয়া-ঢাকা রুটে রিটার্ন টিকিট পাওয়া যেত, এখন সেটি আড়াই থেকে তিন হাজার রিঙ্গিত। তা-ও মিলছে না টিকিট।
এই রুটে বিমানের ভাড়া এতই বেড়ে গেছে যে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরতে পারছেন না অনেক প্রবাসী। অনেকে আবার দেশে গিয়েও বিপাকে পড়ছেন। তারা তাদের কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে।
এ অবস্থায় রেমিট্যান্স যোদ্ধারা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন। বহু প্রবাসী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৪ থেকে ৫ বছর পর ছুটি পেয়েও বিমান ভাড়ার টাকা জোগাড় করতে না পেরে দেশে যেতে পারছেন না। তাদের অভিযোগ, অস্বাভাবিক ভাড়ায় দিশেহারা প্রবাসীরা বছরে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠান তার একটি বড় অংশ লুটে নিয়ে যাচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলো।
অভিযোগ উঠেছে, মালয়েশিয়ার রুটে পর্যাপ্ত ফ্লাইট না থাকার সুযোগে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এয়ারলাইন্সগুলো নিজেদের মতো করে টিকিট ব্লকের জমাজমাট বাণিজ্য করছে। ভারত, নেপাল, পাকিস্তানসহ আশপাশের কোনো দেশের ভাড়া বাড়েনি। শুধু বাংলাদেশের জন্য কেন এত ভাড়া বাড়বে? সে প্রশ্নের জবাবে কৃত্রিম সংকটের কথা বলছে ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো।
বিমানের টিকিটের দামের এমন লাগামহীন উর্ধ্বগতি প্রবাসীদের জন্য এক মহাসংকট এবং দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত নেতিবাচক হবে বলে মনে করছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।