হোম খুলনানড়াইল বাংলাদেশ নিয়ে থামছেনা ভারতীয় মিডিয়ার নির্ভেজাল মিথ্যাচার

বাংলাদেশ নিয়ে থামছেনা ভারতীয় মিডিয়ার নির্ভেজাল মিথ্যাচার

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 16 ভিউজ

মোস্তফা কামাল:
বাংলাদেশ নিয়ে থামছেনা ভারতীয় মিডিয়ার নির্ভেজাল মিথ্যাচার। চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে আবারো পশ্চিমবঙ্গের মিডিয়ার খপ্পরে পড়ে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের শিখানো বুলি আওড়াতে হলো ঊষা রানী রায় নামে নড়াইলের এক ষাটউর্দ্ধো হিন্দু নারীকে। মাত্র তিন দিন আগে পেট্রোপোলে একই কায়দায় নড়াইলের খুকু রানী নামে এক নারীকে দিয়েও বানোয়াট বয়ান দেয়ায় সেখানকার হলুদ সাংবাদিকরা। ভারতীয়া মিডয়ার নৈতিকতা বিবর্জিত অপসাংবাদিকতায় চরম বিব্রত নড়াইলের হিন্দু সংখালঘুরা। এ দিকে ঊষা রানী ভারত থেকে এক ভিডিও বার্তায় জানান, সাংবাদিকরা তাকে আটকে রেখে বাধ্য করে মিথ্যা কথা বলতে ।

ভারতের টেলিভিশন এপিবি আনন্দে প্রচার হওয়া ঊষা রানী রায়ের বক্তব্য যে নিরেট প্রোপাগন্ডা তার প্রমান মিললো ঊষা রানীর নিবাস নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের চাকুলিয়া গ্রামে গিয়ে। গ্রাম জুড়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজমান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিন্দু মুসলাম নির্বিশেষে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে সুষ্ঠুসুন্দর পরিবেশে চলছে পাঠদান, খেলাধুলা। স্বভাবিক নিয়মে চলছে পূজাঅর্চনায়সহ দৈনন্দিন কাজকর্ম। গ্রামবাসী জানায়, পূর্ব পুরুষের আমল থেকেই তারা হিন্দুমুসলমান পরস্পর সৌহার্দপূন পরিবেশে শান্তিতে বসবাস করছে চাকুলিয়া গ্রামে। এ গ্রামের মধ্য পাড়ার বাসিন্দা গ্রাম্য চিকিৎসক সুবাস রায়ের স্ত্রী সাবেক সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ঊষা রানী গত ৭ ডিসেম্বর চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতে যান। সেখানে বেনাপোল ইমিগ্রেসন পেরিয়ে ওপারে পৌছাতেই তিনি ভারতীয় সাংবাদিকদের খপ্পরে পড়েন। তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে আটকে রেখে বাধ্য করা হয় বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়নের মিথ্যা বক্তব্য দিতে। ভারতীয় গনমাধ্যমের এমন ন্যাক্কারজনক মিথ্যাচারে বিব্রত ঊষা রাণীর স্বজনও এলাকাবাসী।

ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যাচারের নিন্দা জানান ঊষা রানীর স্বামী সুবাস রায় তিনি বলেন আমরা এখানে হিন্দু মুসলিম মিলেমিশে বসবাস করছি জামায়াত বিএনপি ছাত্রশিবির আমাদের পূজাঅর্চনায়সহ দৈনন্দিন কাজকর্ম সব রকমের সহযোগিতা করে থাকে। দুর্গা পুজার সময় বিএনপি জামায়াতের লোকজন আমাদের সাথে থেকে পুজা মন্ডপ পাহারাসহ আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে।ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেমায়েত হোসেন বলেন,নেট দুনিয়ায় বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর তাৎক্ষনিক আমরা দলীয় নেতাকর্মীসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগীতায় যাতে কোন অপৃতিকর ঘটনা না ঘটে সে দিকে কাজ করছি। এ ইউনিয়নে সম্পৃতির বন্ধন অটুক রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ জামাত ইসলামের নেতা, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নড়াইল জেলার সহকারি সাধারন সম্পাদক মোঃ মতিয়ার রহমান,এই মিথ্যা খবর প্রচারিত হওয়ার পর এলাকায় যেন কোন উত্তেজনা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমরা সজাগ আছি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওযামীলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ পাখি বলেন, আমার ইউনিয়নে জানা মতে এই এলাকায় হিন্দুদের কোন ক্ষতি হয়নি। বিগত দূর্গাপুজায় জামায়াত শিবির, বিএনপির নেতৃবৃন্দ এলাকার বিভিন্ন পূজামন্ডপ পাহারা দিয়েছে। এখানে সকলে মিলে মিশে আছি। আমার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য উষা রানী রায়কে ভারতে জোর করে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়েছে।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের বোড়ামারা গ্রামের খুকু রানী বিশ্বাসকে দিয়েও মিথ্যা বলায় কয়েকটি ভারতীয় গনমাধ্যম। বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলাম অব্যাহত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে ভারতীয় মিডিয়ার হীন চক্রান্ত রুখতে সে দেশের সরকার ও জনগন আশু ব্যবস্থা নিবে এ দাবি দেশপ্রেমিক প্রতিটি বাংলাদেশীর। সকল ষড়ষন্ত্রের জাল ছিন্ন করে সম্প্রীতির বাংলাদেশ আরও সামনে এগিয়ে যাবে এটিই নড়াইল ততা এদেশের হিন্দু মুসলিম সকলের প্রত্যাশা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন