হোম জাতীয় বাংলাদেশ-ইথিওপিয়া বিমান চলাচলে চুক্তি

জাতীয় ডেস্ক:

বাংলাদেশ ও ইথিওপিয়ার মধ্যে নতুন দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির ফলে দুই দেশের মনোনীত বিমান সংস্থার উভয় দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সিভিল এভিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ৩ ডিসেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) বিমান চলাচল নেগোসিয়েশন সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় ইভেন্ট আইসিএও এয়ার সার্ভিসেস নেগোসিয়েশন ইভেন্ট ২০২৩ (আইসিএএন২০২৩) অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে দুই দেশের কর্তৃপক্ষের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

এ বছর আইসিএও’তে ৯৭টি সদস্য দেশের এরোনটিক্যাল অথরিটির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

নতুন এ চুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াও, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তিগুলোর আওতায় বিমান চলাচল সংক্রান্ত বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে কুয়েত, কাতার ও বাহরাইনের মধ্যে এগ্রিড মিনিটস; জর্ডান, আলজেরিয়া, ওমান, থাইল্যান্ড, কানাডা, উজবেকিস্তানের সঙ্গে রেকর্ড অব ডিসকাশন; এবং বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি আধুনিকায়নের উদ্দেশ্যে নেদারল্যান্ডস, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে রেকর্ড অব ডিসকাশন স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানেরর নেতৃত্বে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশি এয়ারলাইনস প্রতিনিধিসহ ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ইভেন্টটিতে অংশ নেন।

এই ইভেন্টে বাংলাদেশের সঙ্গে মোট ১৩টি দেশের দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, এ ইভেন্টে মূলত আইসিএও এর সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষর বা অনুস্বাক্ষর, দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তির সম্প্র্রসারণ এবং বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা বা পর্যালোচনা হয়ে থাকে। আলোচনা পর্যালোচনার পর আলোচিত বিষয়ের ওপর রেকর্ড অব ডিসকাশন, এগ্রিড মিনিটস, মেমোরেন্ডাম অব আন্ডাসটেন্ডিং (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়ে থাকে।

আলোচনাতে বিমান বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশীয় এয়ারলাইনসের সঙ্গে বিদেশি এয়ারলাইনসের কোড শেয়ারসহ বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধিকে প্রাধান্য দেয়া হয়। তাছাড়া এ ইভেন্টে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব এ ৩টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান চলাচল সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যান, বেবিচকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল গুরুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ সভা করেছেন।

এছাড়াও বেবিচকেরর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এই ইভেন্টে আরও অনেক রাষ্ট্রের মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ও মতবিনিময় করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সার্বিকভাবে আইসিএএন২০২৩ ইভেন্টে অংশগ্রহণের কারণে একদিকে যেমন বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে দীর্ঘ দিনের অনিস্পন্ন বেশ কিছু বিষয় সস্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে; অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ আরও বিস্তৃত হয়েছে।

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে দেশগুলোর আগ্রহ, অগ্রগতি এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে দেশগুলোর উচ্চ ধারণা সম্পর্কে অবগত হওয়া সম্ভব হয়েছে। যা বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণে আরও অবদান রাখবে বলে জানায় বেবিচক।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন