জাতীয় ডেস্ক :
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, বাংলাদেশের চিনিশিল্প শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুয়ায়ী উৎপাদন বাড়ানো এবং আমদানি কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। উচ্চ ফলনশীল আখ উদ্ভাবন এবং আখচাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আখের দাম বৃদ্ধি ও অন্যান্য প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে যাতে কৃষকরা পুনরায় আখ চাষে উদ্বুদ্ধ হয়।
গুণগত মানসম্পন্ন ও উচ্চ ফলনশীল আখ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)- এর আওতাধীন ঝিনাইদহ জেলার মোবারকগঞ্জ সুগারমিলে প্রদর্শনী ফিল্ড ও চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রদর্শনী ফিল্ড পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় বিএসএফআইসির চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপু, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো (বিএটি) বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দিন, চিনি কলের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় আখচাষিরা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্প সচিব বলেন, আখের জাত প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে গুণগতমানসম্পন্ন আখ উৎপাদনে সহায়তা এবং উদ্বুদ্ধকরণে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সঙ্গে বিএটি বাংলাদেশ একযোগে কাজ করে চলেছে। সম্ভাবনাময় এ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি যার মধ্যে বিএটি বাংলাদেশের এ মডেল প্রকল্প অন্যতম। এ ধরনের উদ্যোগ দেশজুড়ে সম্প্রসারণ করা গেলে দেশের প্রান্তিক চাষি আখ চাষে উদ্বুদ্ধ হবে এবং ফলস্বরূপ চিনি কলগুলোতে পুনরায় গতির সঞ্চার হবে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি বলেন, এ কার্যক্রমের আওতায় বন্ধু সেবা অ্যাপের সাহায্যে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন এসএমএসের মাধ্যমে অ্যাপটির ডাটাবেজে সংরক্ষিত প্রায় ৬৫ হাজারের বেশি আখচাষিকে আখের পরিচর্যার জন্য কখন কী করণীয় ও আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্যাদি তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে।